নাসার গবেষকরা বলছেন, ইউএআরএস যে পথ ধরে পড়েছে জার্মান ২.৪ টন ওজনের এ কৃত্রিম উপগ্রহটিও সে পথই অনুসরণ করতে পারে বা পড়তে পারে পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলে।
জার্মান এক্স-রে স্পেস অবজারভেটরি বা রনজেন নামের এ কৃত্রিম উপগ্রহটিকে বলা হয় আরওএসএটি (রোস্যাট)। ১৯৯৮ সালে অক্ষম হয়ে পড়ে রোস্যাট। ১৯৯৯ সাল থেকেই গবেষকরা রোস্যাটকে পরিত্যক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
ইউএআরএস নামের কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীতে পড়া নিয়ে সারবিশ্বে শোরগোল উঠেছিলো। গবেষকরা অবশ্য কারো মাথায় পড়বে না বলে অভয়বাণী শুনিয়েছিলেন। পরে দাবি করা হয়, কানাডায় পড়েছে ইউএআরএস-এর ধ্বংসাবশেষ।
তবে নাসা জানিয়েছে, ইউএআরএস-এর ধ্বংসাবশেষ কানাডায় নয়, পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে। এ উপগ্রহটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাবার আশা ত্যাগ করেছেন নাসার গবেষকরা।
এদিকে, রোস্যাট-এর ভেঙ্গে পড়া নিয়ে আবারও নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এবারও গবেষকরা অভয় দিচ্ছেন। গবেষকরা ইউএআর এর জন্য ৫৭ ডিগ্রি উত্তর এবং ৫৭ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে যেকোনো স্থানেই এটি পড়তে পারে বলেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু রোস্যাটের জন্য বলছেন ৫৩ ডিগ্রি উত্তর এবং ৫৩ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে।
গবেষকরা বলছেন, কৃত্রিম উপগ্রহটির ত্রিশ টুকরো হয়তো পৃথিবীতে পড়তে পারে। এ ঘটনায় আতংকিত না হতেই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment