যুক্তরাষ্ট্রে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার নিয়ে এ গবেষণা করেছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রাণালয়ের অধীনে পরিচালিত ওরাগন ল্যাবরেটরির গবেষকরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ডায়বোল্ড টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তির ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাকাররা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গবেষকরা বলছেন, কেউ ইচ্ছে করলে খুব সহজেই ভোটিং মেশিন হ্যাক করে একজনের দেয়া ভোটের মার্কা পাল্টে দিতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যখন ভোট দেবার জন্য ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বাটনে চাপ দেয়া হয়, তখন হ্যাকার দূর থেকেই তার নির্দিষ্ট প্রতীকে দেয়া ভোট পাল্টে দিয়ে পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোটটি বসিয়ে দিতে পারে।
গবেষকরা ২০০৯ সালে সিকোয়াইয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতিতেও এ সমস্যা ধরতে পেরেছিলেন।
গবেষকরা দাবী করছেন, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই এ দুর্বলতা রয়েছে।
গবেষক জনস্টন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন কম্পিউটার ব্যবহারকারী ২৫ ডলারের ইলেকট্রনিক পার্টস ব্যবহার করেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে, হ্যকারকে শনাক্ত করাও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারে নিরাপত্তা এবং সমস্যা দূর করতে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
ব্রাডব্লগ নামের একটি প্রযুক্তি ব্লগ সাইট এবং ইউটিউবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হ্যাকিং করার বিষয়টির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment