বিশ্বসুন্দরী খেতাব জয় করার পর প্রতিক্রিয়ায় ২৫ বছর বয়সী লাইলা বলেছেন, ‘ঈশ্বর আমাকে যেভাবে, যে রূপে সৃষ্টি করেছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আমি সৌন্দর্যের কৃত্রিমতায় বিশ্বাসী নই। আমি কখনোই প্লাস্টিক সার্জারি করাইনি। সূর্যের আলো গায়ে মেখেছি, প্রচুর ঘুমিয়েছি আর পানি পান করেছি। আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতায় জয় এনে দিয়েছে আমার সুন্দর হাসি।’
লাইলা আশা করছেন, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট পরায় তার দেশ অ্যাঙ্গোলার যুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মিস অ্যাঙ্গোলা নির্বাচিত হবার পর থেকেই আমি আমার দেশের জন্য অনেক কিছু করছি।’ এইডস বিরোধী যুদ্ধে নিজেকে জড়ানোর পরিকল্পনাও করেছেন বাণিজ্য বিভাগের এই ছাত্রী।
কৃষ্ণসুন্দরী হিসেবে বিশ্বজয়ের পর লাইলা বলেছেন, ‘বর্ণ বৈষম্য যারা সমর্থন করেন, এখন তাদের সাহায্য করার সময়। এখন বর্ণবৈষম্য ভুলে যাবার সময় এসেছে।’
৮৮ জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে সেরার মুকুট জিতেছেন লাইলা। আর এর মধ্য দিয়ে গতবারের বিশ্বসুন্দরী মেক্সিকোর জিমেনা নাভারেতির স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এবারের ৬০তম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হয়েছেন মিস ইউক্রেন ওলেসিয়া স্টেফাংকো।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারকদের ভাষ্য ছিলো, ‘মেয়েদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাইরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি মনের সৌন্দর্যও।’
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার শুরুতেই অনেক প্রতিযোগী শরীর প্রদর্শনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment