তবে এসব প্রশ্নের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য জবাব পাওয়া আসলেই কঠিন। কারণ, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কখনো মনে হয়েছে, ধর্মের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আবার সঙ্গে সঙ্গে উল্টোটাও মনে হয়েছে উত্তরদাতাদের জবাব থেকে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে পুণ্যার্থী-ভাটার প্রমাণ যেমন আছে, তেমনি বড় বড় ধর্মীয় স্থানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে পুণ্যার্থীদের প্রণামির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
কেরালার ভগবান আয়াপ্পা মন্দিরে প্রতিবছর ২০ শতাংশ করে আয় বাড়ছে। ২০১০ সালে এ মন্দিরে এসেছেন তিন কোটির বেশি পুণ্যার্থী। গুরুভায়ুর মন্দিরে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার পুণ্যার্থী আসেন। শ্রীনাথজি মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অজয় কুমার শুক্লা জানান, গত কয়েক বছরে তাঁদের মন্দিরে পুণ্যার্থী ও প্রণামির পরিমাণ বেড়েছে।
তবে কোনো মন্দির কর্তৃপক্ষই এখনো অর্থনৈতিক মন্দায় তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলেছে তা খতিয়ে দেখেনি। শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আর কে গোয়েল বলেন, ‘এই মন্দার সময় কেমন পুণ্যার্থী আসেন বা কত প্রণামি দেন তা কখনো আমরা বিশ্লেষণ করে দেখিনি। সাধারণত দান-অনুদানের সঙ্গে বাজারের সম্পর্ক নিয়েও কখনো ভাবিনি।’ বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কর্তৃপক্ষ এক বছরে প্রণামি পেয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ কোটি রুপি।
ভারতের অন্যতম ধনাঢ্য মন্দির তিরুপতি। শুধু প্রণামি থেকেই এই মন্দিরের আয় বাড়েনি, বেড়েছে টিকিট ও লাড্ডু বিক্রি করেও। ২০০৫-০৬ বছরে এ মন্দিরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৯৮ লাখ। ২০১০-১১ বছরে সেটা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ। আর আয় এক হাজার ৫০০ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৯০০ কোটি রুপি।
তবে গির্জার আয় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। কারণ, ইউরোর কাছে মার খেয়েছে মার্কিন ডলার। ক্যাথলিক চার্চের পক্ষ থেকে সারা দুনিয়ায় অনুদান সংগ্রহ করে পিটার্স পেন্স। মূলত যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স ও জার্মানির সাধারণ ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে তারা অনুদান সংগ্রহ করে। ২০১০-এ পিটার্স পেন্সের অনুদান কমেছে দেড় কোটি ডলার। ভারতের মতো সুদিন তাদের নেই।
প্রতিবেদনের শেষে ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, আর যা-ই ভারতে ধর্মের দিন কখনো খারাপ যায় না।Prothom-alo
0 comments:
Post a Comment