রোজার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ফিট থাকা, রোগ থেকে দুরে থাকা | তাই খাবার ও হতে হবে নিয়ম মত | তাই এই ডায়েট টিপস গুলো মেনে চললে শরীরটা কে অনেক চাঙ্গা মনে হবে |
কি ভাবে খাবার খাবেন?
- নিজেকে ইফতার এর সামনে সংযত করুন | আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করুন |
- প্রথমে পানি বা শরবত খান | তারপর খোরমা বা খেজুর খান | তারপর কাচা ছোলা খেয়ে নামাজ পড়তে চলে যান |
- তারপর আস্তে আস্তে বাকি খাবার খান |
- পুরা পেট ভরে না খেয়ে একটু ক্ষুধা রেখে খেতে হবে |
- তারপর আধা ঘন্টা পর পানি খেতে হবে |
- ইফতারের এক ঘন্টা পরে চা খেতে পারেন |
প্রতি বেলার খাবার কি ভাবে খাবেন?
- সেহেরিতেও পরিমিত পরিমানে খান
- সেহরীতেও খুব বেশি খাওয়া বা সেহরী না খাওয়া ঠিক না | সেহরী না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে |
- ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরী এই তিন বেলাই খাবার খাবেন|
- কোনো বেলা খাবার খাওয়া বাদ দিবেন না| তাহলে দুর্বল হয়ে যেতে পারেন
- রোজার মাসেও স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্যালরি মেপে, পরিমিত পরিমানে খেতে হবে|
- যার যার শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী স্বাভাবিক নিয়মে ক্যালোরির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে
- একবারে বেশি খাবার বা বেশি ক্যালোরিবহুল খাবার খাওয়া যাবে না, তাহলে ওজন বাড়তে পারে, পেটের সমস্যা,
গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি হতে পারে - প্রতিবেলার খাবার হতে হবে সহজপাচ্য, পরিমিত ও যার যার শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী
কি খাবেন, কি খাবেন না
- ইফতারে খেজুর বা খোরমা অবশ্যই খাবেন | এতে আছে শর্করা , চিনি , sodium, calcium, magnesium, phosphorus, iron, copper, sulfur, manganese, silicon , chlorine,ফাইবার , যা সারাদিন রোযা রাখার পরে খুব ই দরকারী |
- চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে | এটা খুব তাড়া তাড়ি রক্তে চিনি র মাত্র বাড়িয়ে দেয়, ওজন বাড়ায় | চিনি কে বলুন বাই বাই |
- সব মাসের মত সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়ম মত | তা না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে নিত্য সঙ্গী |
- এই গরমে অন্তত ৮ গ্লাস পানি না খেলে হজম এর সমস্যা হবে |ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত পানি ,পানি আর পানি খাবেন একটু পর পর
- ডাবের পানিও খেতে পারেন
- সরবত খাওয়া ভালো, এতে পানিশুন্যতা হবে না| বিভিন্ন ফলের চিনি ছাড়া সরবত, লাচ্ছি, ইসবগুলের সরবত
ইত্যাদি খেতে পারেন| - খাদ্য তালিকায় সব গ্রুপের খাবার থাকতে হবে : আমিষ, শর্করা , ফ্যাট,ভিটামিন, দুধ , দই ,মিনারেলস , ফাইবারইত্যাদি খেতে হবে নিয়ম মত |সুষম খাবার (balance diet) খেতে হবে |
- অন্যান্য সময়ের মতই সাদা শর্করা কম খেয়ে লাল শর্করা বা complex carbohydrate (যেমন লাল আটা) বেশি খান
- ফাইবার সম্দৃধ্য খাবার যেমন : লাল আটা , বাদাম ,বিনস, শস্য ,ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে | এগুলো হজম হয় আস্তে আস্তে তাই অনেক সময় পরে ক্ষুধা লাগে | রক্তে চিনি র পরিমান তাড়া তাড়ি বাড়ে না |
- সুষম খাবার : দুধ খেতে হবে প্রতিদিন |
- ইফতারে কাঁচা ছোলা খাওয়া ভালো | তবে তেল দিয়ে ভুনা করে খাওয়া ঠিক না |
- চা , কফি র মাত্রা কম হতে হবে | তা না হলে পানি শুন্যতা ,কোষ্ঠকাঠিন্য ,ঘুমের সমস্যা হতে পারে |
- সেহরী তে দুধ সমদৃধ্য খাবার যেমন: oats, corn flakes ইত্যাদি খেলে আস্তে আস্তে হজম হয় | ক্ষুধা কম লাগে |
- ভাজা পোড়া, গুরুপাক খাবার : যেমন : ছোলা ভুনা, পেয়াজু, বেগুনি, চপ, হালিম, বিরিয়ানি বাদ দিবেন | তবে ঘরে তৈরী হালিম খেতে পারেন|
- ওজন কমাতে চাইলে শর্করা কম খেতে হবে, আমিষ ও সবজিকে বন্ধু বানিয়ে পেট ভরাতে হবে |
- প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে অন্তত এক বেলা মাছ খেতে চেষ্টা করুন |
- সহজ পাচ্য খাবার , ঠান্ডা খাবার যেমন : দৈ, চিড়া খাবেন | তাহলে সারাদিন রোজা রাখা নাজুক পাকস্থলী শান্তিতে খাবার হজম করতে পারবে |
- কোষ্ঠকাঠিন্যর দেশে যেতে না চাইলে ইসবগুল খেতে পারেন, দুধ বা জুস এর সাথে | এটা রাতে খেতে পারেন |
- বেশি দুর্বল লাগলে ডাবের পানি বা saline খেতে পারেন ইফতারের পরে |
- কোমল পানীয় ? এটা তো বিষ | ঘুমের সমস্যা ,acidity, ulsers, ইত্যাদি র কারণ | এটাও সারাজীবনের জন্য বাই বাই |
- diebetis এর রোগীরা পরিমিত পরিমানে, ডাক্তার এর নির্দেশ মত খাবেন |
মনে রাখবেন রোজার মাসে junk food বাদ দিলে, balanced diet খেলে দেহের অতিরিক্ত মেদ কমবে, toxin কমবে, ফিটনেস বাড়বে | সারাদিন না খাবার ফলে দেহের অতিরিক্ত মেদ কমে সারাদিনের কাজের মাধ্যমে | তারপর balanced ইফতার আবার শরীরকে তৈরী করবে আগামী দিনের আরো একধাপ ফিটনেস বাড়ানোর জন্য |
রোজার মাসে সবার সুস্থ্য, সুন্দর জীবন কামনা করি |
যদি এই লেখা ভালো লাগে ,আপনার বন্ধুকে পাঠান এর লিঙ্ক |
0 comments:
Post a Comment