স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের খাবার ব্যয় গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত একটি গবেষণায় একথা জানা গেছে। বৃহস্পতিবার হেলথ অ্যাফেয়ার্সে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য গ্রহণের নতুন যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, অর্থনীতির ওপর তার প্রভাব পর্যালোচনার জন্য এ গবেষণাটি করা হয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম, আঁশ, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য গ্রহণ এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার ও বাড়তি চিনি এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান স্থূলতার হার কমাতে নতুন এই নীতিমালা প্রণীত হলেও গবেষণায় এই খাদ্যাভ্যাসের বেশ কিছু সমস্যা বেরিয়ে এসেছে।
গবেষণার জন্য ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টির সাধারণ খ্যাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত ১ হাজার ১২৩ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর স্থানীয় তিনটি বাজারের খাবারের খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে খাদ্য গ্রহণের খরচ হিসাব করা হয়।
এতে দেখা যায়, বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম গ্রহণে প্রতি ব্যক্তির খাবারের পেছনে বার্ষিক ব্যয় গড়ে ৩৮৯ ডলার বেড়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে ফ্যাটযুক্ত খাবার ও চিনি থেকে বেশি ক্যালরি গ্রহণে খাবারের পেছনে সার্বিক খরচ কমে যায়।
আঁশ ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে খরচ বেশি হয় বলেও গবেষণায় দেখা যায়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষকদের মধ্যে অন্যতম পাবলো মোনসিভাইস বলেন, সরকারের উচিত খাদ্য নীতিমালায় অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে চিন্তা করা।
আমেরিকার এক তৃতীয়াংশের বেশি শিশু ও দুই তৃতীয়াংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন বেশি বা স্থূল।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, একজন আমেরিকান খাবারের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার ডলার ব্যয় করে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment