বুদ্ধি আসে উত্তরাধিকারে

যদি কেউ কোনো অঙ্ক কষতে গিয়ে সমাধানে ব্যর্থ হন কিংবা কোনো ধাঁধার জট খুলতে না পারেন, তাহলে মাথার চুল ছেঁড়ার উপক্রম হয়। অনেকে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে দায়ী করে হতাশায় ভোগেন। ভাবেন, এ কেমন অভিশাপের খেলা? তাহলে বুদ্ধির এ ঘাটতির জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন? গণিতের শিক্ষককে, নাকি আপনার মা-বাবাকে?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আসলে এ সমস্যার জন্য কেউ দায়ী নন, দায়ী বংশগত উত্তরাধিকার। সে সূত্রেই আসে সন্তানের মোট বুদ্ধির অর্ধেকটা। আর অর্ধেকটা তার নিজের প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পিটার ভিচার অব দ্য কুইন্সল্যান্ড ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল রিসার্চে এক গবেষণায় জেনিটিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তবে ওই পরীক্ষায় আরো দেখা গেছে, এদের মধ্যে চলি্লশ শতাংশ মানুষের বুদ্ধিমত্তা খুবই ব্যতিক্রমী। তাদের বুদ্ধিমত্তা দ্রুত পরিবর্তনশীল, এসব বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ বিমূর্ত ও অতি কল্পনায় বিশেষভাবে দক্ষ। তারা বুদ্ধিকে সৃজনশীল কাজে সচেষ্ট করতে পারে।

এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকদলের প্রধান লেন ডেইরি জানান, মানুষের বুদ্ধির ক্ষেত্রটা এমন যে এর অর্ধেক বহন করতে হয় জেনেটিক কারণে। অবশ্য স্বতন্ত্রভাবে কেউ কেউ এ অভিধার ব্যতিক্রম হতে পারে। ডিএনএ পরীক্ষার এ ফলাফলে উঠে এসেছে যে প্রত্যেক মানুষই তার বুদ্ধির অর্ধেকটা পেয়েছে মা-বাবা কিংবা তাদের পূর্বসূরিদের কাছ থেকে। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।