সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক বাতির সাহায্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বা ডেটা প্রেরণের পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির গবেষক হ্যারাল্ড হাস।
হ্যারাল্ড হাস জানিয়েছেন, ‘যখনই বাতি বন্ধ করতে সুইচে চাপ দেওয়া হবে তখনই ডেটা সংযোগও বিছিন্ন হয়ে যাবে। বর্তমানে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে ডেটা প্রেরণের যে কাজ করা হয় সেটি মোটেও যথেষ্ট কিছু নয়। মোবাইল ফোনের বেজ স্টেশনগুলো এ সিগন্যাল বাড়িয়ে দিলেও বেশিরভাগ শক্তিই ব্যয় হয় একে শীতল করতে। এ প্রক্রিয়ায় কেবল ৫ ভাগ শক্তি ব্যবহারযোগ্য হয়। এদিকে, সারা বিশ্বে ৪০ বিলিয়নেরও বেশি বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহৃত হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ডেটা প্রেরণে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।’
তিনি এ প্রযুক্তিটির নাম দিয়েছেন ‘লাই-ফাই’ বা ‘ লাইট ফিডেলটি’।
হাস আরো জানিয়েছেন, লাই-ফাই হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা কোনো ‘হোয়াইট স্পেস’ বা আলোর উৎস থেকেই ডেটা পাঠাতে পারে। এ পদ্ধতিতে এলইডি বাতিগুলো পুরো ট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। এ আলোকে বলা হচ্ছে ‘ডি-লাইট’ যা সেকেন্ডে ১০ মেগাবিট পর্যন্ত ডেটা পাঠাতে পারে।
এ অ্যাপ্লিকেশনের ফলে বাড়ি ছাড়াও পানির নীচে বা প্লেনেও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে এটি স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যাবে।
হাসের দাবি, রেডিও তরঙ্গের চেয়ে দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গের রেঞ্জ ১০ হাজার গুণ বেশি থাকায় এটি তারবিহীন যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর হবে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment