সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সত্যি হতে পারে এতোদিন কেবল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে শোনা আর সেলুলয়েডে দেখা দৃশ্যটি। এই ঘটনাটি অনেকটাই হলিউডি ম্যুভি ‘আর্মাগেডন’-এর মতোই, যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয়কারী ব্রুস ইউলিস এবং তার দল পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা বিশাল উল্কাপিণ্ডকে উড়িয়ে দিতে দেখা যায়।
গবেষকরা এ পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন ‘ডন কুইটক্সোট’। এ প্রোগ্রামের আওতায় দুটি স্যাটেলাইট পাঠানো হবে উল্কাটিকে প্রতিহত করতে। এর মধ্যে একটির কাজ হবে উল্কাটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে উড়িয়ে দেয়া আর একটি খুব কাছে থেকে ডেটা সংগ্রহ করবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে ধেয়ে আসা এ উল্কাটির নাম ‘৯৯৯৪২ অ্যাপোপহিস’। এটি ১ হাজার ৬০০ ফুট চওড়া।
অবশ্য গবেষকরা বলছেন, এ উল্কাটি পৃথিবীতে আঘাত হানার আশংকা আড়াই লাখ বারের মধ্যে মোটে একবার। আর এ ঘটনা ঘটতে পারে ২০৩৬ সালে। কিন্তু ২০১৫ সালেই এটি হামলা করার আয়ত্বে চলে আসবে বলেই সুযোগটি নিতে চাইছেন গবেষকরা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, উল্কায় আঘাত করবে যে ‘ইমপ্যাক্ট’ স্যাটেলাইটটি, সেটির নাম ‘হিদালগো’। এটির ওজন ৫০০ কেজি। এটি সেকেণ্ডে ৬ মাইল গতিতে আঘাত হানবে শত্রু উল্কাটিতে। এদিকে, ‘অরবিটার’ স্যাটেলাইটটিকে ডাকা হচ্ছে স্যাঞ্চো নামে। এটি পুরো সংঘর্ষের ঘটনা স্ক্যান করবে এবং প্রতিটি ডেটা মনিটর করে দেখবে উল্কার গতিপথে পরিবর্তন ঘটেছে কিনা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এ সংঘর্ষ থেকে আগামীতে পৃথিবীর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এদিকে, নাসার গবেষকরা উল্কা পর্যবেক্ষণে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। নাসার গবেষকদের মতে, আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই উল্কার গায়ে মানুষের পদচিহ্ন পড়বে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment