সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
বেশি লবণে বেশি মৃত্যু
খাবারের অন্যতম দরকারি উপাদান লবণ বা নুন। অন্য উপাদানগুলোর তুলনায় পরিমাণে কমই লাগে, কিন্তু না হলেও চলে না। লবণ এতটাই অপরিহার্য উপাদান যে এ নিয়ে সারা বিশ্বে ‘নুনের মতো ভালোবাসা’র মতো আলোচিত গল্পকথা প্রচলিত রয়েছে। লবণক্ষেতের দখল নিয়ে ইতিহাসে যুদ্ধ হয়েছে, সামান্য লবণ খাইয়ে জমিদারের কাছ থেকে ক্ষেতিজমি উপহার পেয়েছেন অসহায় কৃষক। মালিকের লবণ বা নিমক খাওয়ার কারণে সততা ও ইমানের পরীক্ষা দিতে হয়েছে অনুগত কর্মচারীদের। সেই থেকে চালু হয়েছে নিমক হালাল বা নিমক হারামের মতো প্রবাদ। সেই লবণ খাওয়া নিয়ে কেউ যদি জাতিসংঘের কাছে নালিশ করে-মানবেন? না, এই নালিশ সরাসরি লবণ খাওয়ার বিরুদ্ধে নয়। তবে বেশি লবণ খেলে মানবশরীরে এর যে কুফল তৈরি হয়, সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধূমপানের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়_এ নালিশে জানানো হয়েছে সেটাই। এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া মৃত্যু ত্বরান্বিতকারী রোগগুলোর অন্যতম কারণ।
গবেষণাটি করেন ব্রিটেনের ওয়্যারউইক ও লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী। সম্প্রতি দেশটির চিকিৎসা সাময়িকীতে খাদ্যে লবণ গ্রহণ ও এর মাত্রার ওপর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাতে বলা হয়, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যাসহ নানা ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তাই খাদ্যের স্বাদের দিকে শুধু না তাকিয়ে নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকেও তাকাতে হবে। খাবারে স্বাভাবিকভাবে যে পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা হয়, সচেতনভাবে এখন থেকে তার চেয়েও কম খাওয়া উচিত। তাঁরা ওই প্রতিবেদনে এর ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেছেন, ধূমপানের ফলে যে ধরনের রোগ হয় অতিরিক্ত লবণ খেলে তার চেয়ে কোনো অংশেই কম হয় না। তাই ধূমপান প্রতিরোধে যেভাবে প্রচারণামূলক কর্মসূচি চালানো হয়, প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ রোধে একই রকম প্রচারণা চালানো। যদি এতেও কোনো কাজ না হয় তাহলে প্রতিটি রাষ্ট্রের খাদ্য বিভাগের উচিত মানুষের লবণ কেনাকাটার ওপর হস্তক্ষেপ করা। একজন মানুষ মাসে সর্বোচ্চ কতটুকু লবণ কিনতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া। এ জন্য জাতিসংঘও উদ্যোগী হয়ে বিশ্বব্যাপী এই বিষয়ে প্রচারণা চালাতে পারে এবং তা শুরু করা উচিত এখনই। শুরুর নালিশ আর তার কারণে দরকারি কর্মসূচির গুরুত্ব এবার বুঝেছেন নিশ্চয়ই। আরেকটু বলা যায়, যদি এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ খাদ্য উপাদান হিসেবে তাদের নিত্যব্যবহার্য লবণের মাত্র ১৫ শতাংশ বর্জন করে তাহলে বছরে ৮৫ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব। আর খাদ্যাভ্যাস থেকে এটুকু কমাতে পারলে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য পরিচর্যার খরচ কমবে কমপক্ষে ২৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার সমান। জীবনে স্বাদ জাগায় লবণ, তবে অতিরিক্ত খেলে জীবন কেড়েও নেয়। তাই চলুন, একটু মেনে চলি। জীবন বাঁচাতে অভ্যাসটা না হয় একটু পাল্টাই। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Diet and Fitness,
Health-And-Fitness,
Thesis,
খাদ্য ও পানীয়,
গবেষনা,
স্বাস্থ্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment