- আপনি যদি সব সময় অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত বোধ করেন বা অতিরিক্ত ইউরিন হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন|
- একজন মানুষ পানি না পান করে ৫-৭ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে
- পানির অভাবে মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে শরীরে ফ্যাট জমে
- কেবল মাত্র তৃষ্ণা পেলেই আমরা পানি পানি পান করি, এটা ভুল অভ্যাস
- আমাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশই হচ্ছে পানি| রক্ত, মাসেল, ফুসফুস, ব্রেইন সব অঙ্গেরই প্রধান উপাদান পানি| এমনকি, আমাদের হাঁড়েও ২৫% পানি আছে
- চা,কফি, কোলা জাতীয় পানীয়, বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় diuretic, মানে এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়, তাই একটু পর পর পিপাসা বোধ হয়| সেজন্যে, এই জাতীয় পানীয় পান করতে হবে মেপে মেপে| যেমন: চা/ কফি খেতে হবে দিনে সর্বোচ্চ ৩/৪ কাপ| চা/কফি পান করার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন|
- পানিশূন্যতার লক্ষ্যন হচ্ছে– কোষ্ঠকাঠিন্য, জয়েন্ট, মাসেল ও লো ব্যাক পেইন, মাথা ব্যথা ইত্যাদি
- আপনার ইউরিন যদি প্রচন্ড দুর্গন্ধযুক্ত ও গাড় হলুদ রঙের হয়, তার মানে আপনি প্রচুর পানি পান করছেন না| সেক্ষেত্রে পানি পান করা বাড়াতে হবে| পানি পান করা কিভাবে বাড়াবেন? ক্লিক করুন| তবে কিছু ওষুধ, যেমন, ভিটামিন বি এর জন্য এমন রঙের ইউরিন হতে পারে|
- সাধারণ তাপমাত্রার পানি, ঠান্ডা পানির চাইতে তাড়াতাড়ি হজম হয়|
- আমাদের প্রতিদিনের পানির চাহিদার ২০% আসে খাবার থেকে| বাকি ৮০% আসে সকল রকম পানীয় থেকে
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করা ঠিক নয়| কারণ এতে water intoxication হতে পারে| এতে রক্তের লবন পানির সাথে মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়| এছাড়া শরীরের আরো বিভিন্ন রকমের সমস্যা যেমন: হার্টের সমস্যা হতে পারে
- দিনের ৫/৬ বার পানি দিয়ে হাত মুখ ধুলেও ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে|
- আপনার সারাদিনের অধিকাংশ পানি দিনের বেলা পান করুন| কারণ, তাহলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে| রাতে বাথরুমে যেতে হবে না ও ঘুম ভালো হবে |
- খাবারের সাথে পানি পান করাও ভুল নিয়ম| কারণ, তখন saliva এর hydrochloric acid এবং পাকস্থলীর enzymes পানির সাথে মিশে যায়, ফলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়| তাই খাবারের সাথে নয়, পরবর্তী খাবারের মাঝে/খাবার খাওয়া শেষ হবার বেশ কিছু পরে পানি পান করতে হবে|
- পুষ্টিবিদের বলেন –খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে পানি ও পানীয় পান করতে|
- খাবার খাওয়ার ও পানি পান করার নিয়ম হলো পাকস্থলীর ১/৩ খাবার, বাকি ১/৩ পানি দিয়ে পূর্ণ করা| বাকি ১/৩ খালি রাখা|
- অবশ্যই কার্ডিও করার সময় একটু পর পর এক চুমুক পানি খাবেন| পানি আপনাকে dehydration এর থেকে রক্ষা করবে| তবে, একবারে বেশি পানি পান করবেন না| ব্যায়ামের কিছু সাধারণ নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
- ব্যায়াম করার সময় আমাদের শরীর electrolyte (মিনারেলস) হারায়, তাই শুধু পানি না পান করে স্পোর্ট ড্রিংক, চিনি মুক্ত জুস, যেমন: ফল বা সবজির জুস, ডাবের পানি পান করতে পারেন| সেক্ষেত্রে, প্রতি তিন গ্লাস পানির সাথে এক গ্লাস electrolyte যুক্ত পানীয় পান করবেন,যদি আপনি অনেক সময় ধরে খুব high intensity ব্যায়াম করেন | ব্যায়ামের সময় কিভাবে পানি পান করবেন? ক্লিক করুন|
- যারা বাইরে হাঁটেন, তারা হাঁটা শুরু করার ১০ মিনিট আগে পানি পান করবেন| সারাদিন এক ঘন্টা পর পর এক গ্লাস পানি পান করবেন| বাইরে হাঁটার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন|
- আপনার পানির বোতল যদি প্লাস্টিকের হয়, তবে সেটা কতবার ব্যবহার করা যায় তা লক্ষ্য করুন, কারণ কিছু বোতল বার বার ব্যবহার করলে এর কেমিকেল পানিতে মিশে শরীরের ক্ষতি করে
- ফ্রিজে পানি রাখলে কাঁচের বোতল ব্যবহার করুন| কারণ প্লাস্টিকের বোতল থেকে কার্সিনোজেন নামে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে ক্যান্সার তৈরিতে সাহায্য করে| বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন|
- শরীর বেশি গরম হলে ঠান্ডা পানি পান করতে পারেন| যেমন: ব্যায়াম করার পরে ও বাইরে রোদ থেকে ফিরে আসলে|
- আমরা প্রায় সময়ই ওষুধ খেয়ে অসুখ সারাতে চাই, কিন্তু নিয়মিত সঠিক পরিমানে পানি পান করলে অনেক অসুখ হতে রক্ষা পাওয়া যায়|
- তৃষ্ণা এবং ক্ষুধা এই দুটিকে অনেকেই পার্থ্যক্য করতে পারেন না, তাই অনেক সময়ই আমরা তৃষ্ণার্ত কিনা তা না বুঝে ক্ষুধার্ত ভেবে খাবার খাই| কিন্ত তখন দরকার পানি পান করা|
- এক বারে কখনই খুব বেশি পরিমানে পানি পান করা ঠিক নয়| অল্প অল্প করে পানি পান করুন|
- এক গ্লাস পানি পান করার সময় তিন বারে/চুমুকে পানি পান করুন|