সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
যৌবনে নয়, যত সুখ বার্ধক্যেই!
বার্ধক্য। মন খারাপ করা একটি শব্দ। শব্দটি
কানে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে চোখের সামনে ভেসে ওঠে কুঁচকানো চামড়া আর বয়সের
ভারে বাঁকা হতে শুরু করা হাড়গোড়ের থুত্থুড়ে কাঠামোর ছবি। এ ছবি দেখামাত্র
মনে হয়, সারা জীবনের কাজের ঘানি টানার ক্লান্তি ও অবশিষ্ট জীবনের
অনিশ্চয়তার চাপে পিষ্ট কোনো দুর্ভাগা যেন চোখের সামনে মূর্ত হয়ে উঠেছে_যার
মনে কোনো শান্তি নেই, নেই বিন্দুমাত্র সুখ যা
তার চোখে-মুখেও ফুটে উঠেছে। জীবনের অন্তত অর্ধশত বছর পেরিয়ে আসা কোনো
মানুষকে দেখে যাদের মনে এমন চিত্র চিত্রিত হয়, তাদের চিত্রপট নতুন করে
সাজানোর সময় এসেছে। গবেষকরা বলেন, বার্ধক্য মানুষকে অসুখী করে না, বরং
বার্ধক্যেই মানুষের সুখ শুরু হয়। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সুখী
অনুভব করার প্রবণতা।
জার্মানির
হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, মোটামুটি ৫০ বছর বয়সই হলো
বার্ধক্যের শুরু। এ সময়ে বা এর কাছাকাছিতে বেশির ভাগ মানুষ অবসরে যায়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সারা জীবনের কর্মক্লান্তি ও স্বল্প বা বিনা পেনশনে হঠাৎ
এ অবসর, সর্বোপরি বার্ধক্য_সব মিলে এ মানুষদের অসুখী ভাবাটা অস্বাভাবিক
কিছু নয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, বুড়োরা অসুখী_বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের
মধ্যে প্রচলিত এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বরং এ বয়সে এসে মানুষের মধ্যে
ইতিবাচক মনোভঙ্গি তৈরি হয়। এ সময় তারা সব কিছু সম্পর্কে নতুন করে ও
নতুনভাবে ভাবতে পারে। এ ছাড়া দেখা গেছে, অবসর বিষয়টিকে বেশির ভাগ মানুষই
বেশ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে এবং তা উপভোগ করে। এ সময়টিকে তারা একেবারেই
নিজেদের মতো করে ও নিজেদের জন্য ব্যবহার করতে পারে, যা যুবক বা তরুণ বয়সে
সম্ভব ছিল না। ফলে এ সময়টিতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক ভালো
অবস্থায় থাকে।
গবেষকদলের সদস্য ড.
রবার্ট ম্যাককেফরি জানান, পঞ্চাশে মানুষের বার্ধক্য ও নিজেকে সুখী ভাবার
প্রবণতা শুরু হয়। ষাট ও সত্তরের কোটায় গিয়ে তা আরো বাড়ে। এ বয়সের মানুষের
ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ‘আমি অনেক সুখী’, ‘আমি জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট’
বা ‘আমি অতিরিক্ত রকমের সুখী’_এ ধরনের বোধ মানুষ তার বার্ধক্যেই অনুভব করে।
অপেক্ষাকৃত কম বয়সের মানুষদের মধ্যে এ ধরনের বোধ বা এর প্রকাশ একেবারেই
দুর্লভ।
গবেষকরা জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, বার্ধক্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। ফলে সব কিছুকে ভালো
চোখে দেখা ও সহজভাবে নেওয়ার ক্ষমতাও তাদের বাড়ে। এতে নিজের অবস্থান
সম্পর্কেও তাদের মধ্যে সন্তুষ্টি কাজ করে। এ থেকে মানুষের মস্তিষ্কের কাজ
করার ধরনের ওপর আরো তথ্য পাওয়া গেল। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, মানুষের
দৃষ্টিভঙ্গি আসলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর ওপর শরীর-স্বাস্থ্য
ও সুখী বা অসুখী হওয়া_অনেক কিছুই নির্ভর করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে
ইতিবাচকতার ওপর জোর দেওয়া। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল অনলাইন।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Life,
Life Style,
Thesis,
গবেষনা,
জীবন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- গীতা সারাংশ
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment