সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
মুখ দেখে যায় চেনা, কতটুকু তার প্রতারনা!!!
প্রবাদে আছে, চেহারা মনের কথা বলে।
চেহারার রং পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় অভিব্যক্তি। মনের ভাবনার আভাস
তো তাতে মিলবেই। আর এই চেহারা দেখা মানে প্রকারান্তরে কিন্তু মুখ দর্শন।
কারণ, অভিব্যক্তি পাল্টানোর ক্ষমতা আছে শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে
শুধু মুখের। কিন্তু কোনো ব্যক্তির শুধু মুখের আকৃতি দেখেই কি বলে দেওয়া
সম্ভব তিনি কতটা সুবিধাবাদী কিংবা মিথ্যেবাদী? কঠিন
এই বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করছে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণার পর
তাদের প্রাথমিক ভাষ্য, ‘পুরুষদের মধ্যে চওড়া গড়নের মুখমণ্ডল যাদের_তাদের
সুবিধাবাদী হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশিই। আর্থিক সুবিধা হাতাতে তারা
তুলনামূলক বেশি পটু। প্রয়োজনে মিথ্যে বলতেও তারা কার্পণ্য করে না।’ এর মানে
এই নয়-গোল, লম্বা, সুচালো বা অন্য গড়নের মুখমণ্ডল যাদের তারা এ ধরনের কাজে
একেবারেই অনভিজ্ঞ। তবে তাদের সংখ্যা চওড়া গড়নের মুখমণ্ডলের অধিকারীদের
তুলনায় কম।
যুক্তরাষ্ট্রের
উইসকনসিন-মিলওয়াওকি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে এ বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা। গবেষক দল এ
বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের
মাস্টার্স পড়ুয়া ১৯২ শিক্ষার্থীর ওপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালায়। তাদের মধ্যে
১১৫ জন ছিল ছাত্র। বাকিরা ছাত্রী। সেখানে সবাইকে একটা কাজ দেওয়া হয়।
বাণিজ্যের ছাত্রদের জন্য সোজা ও আকর্ষণীয় কাজ। তাদের একটি দলকে ক্রেতা ও
অন্য দলটিকে বিক্রেতা সাজানো হয়। এরপর তাদের দেওয়া হয় জমি-জমা, সম্পত্তি
কেনা বেচার দায়িত্ব। ইমেইলের মাধ্যমে প্রত্যেককে করণীয় সম্পর্কে গোপন
বার্তা পাঠানো হয়। তবে প্রত্যেকের জন্য গোপনীয় বলা হলেও আসলে ওই
বার্তাগুলোতে বিক্রেতাদের বলা হয়েছিল, যদি ক্রেতা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের
উদ্দেশ্যে তোমার সম্পত্তি কিনতে চায় তাহলে বিক্রি করো না। আর বিক্রেতাদের
টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই জমি বা
সম্পত্তি ক্রয় করতে হবে। এ কাজ যখন শেষ হলো, গবেষকরা ফল দেখে সিদ্ধান্তে
এলেন ১১৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে চওড়া গড়নের মুখমণ্ডল যাদের, তারা সম্পত্তি
ক্রয়-বিক্রয়ের খেলায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি আগ্রাসী ছিল। সম্পত্তি পাওয়ার
আশায় তারা অন্য গড়নের মুখমণ্ডলওয়ালা পুরুষদের তুলনায় তিন গুণ বেশি মিথ্যে
বলেছে। এরপর বিষয়টি নিঃসন্দেহ হওয়ার জন্য আরেকটি পরীক্ষা করা হয়। এবার
বিভিন্ন কলেজের ১০৩ শিক্ষার্থীকে একটি লটারি খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো
হয়। তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৫০।
লটারিতে
দুটি গুটি ছিল। কাঙ্ক্ষিত নম্বরটির জন্য সেগুলো ছুঁড়ে মারতে বলা হয়। তবে
সুযোগ পেলে এখানে চিটিং বা জোচ্চুরি করা যাবে বলে তাদের আগে থেকেই জানানো
হয়। দেখা যায়, চওড়ামুখোরাই এ ধরনের সুযোগের সবচে বেশি ব্যবহার করেছে। উভয়
পরীক্ষার পর গবেষকদের সিদ্ধান্ত, চওড়া মুখমণ্ডলধারীরা খানিকটা আগ্রাসী এবং
অবিশ্বস্ত হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই প্রাথমিক এবং এটি মানতে কেউ
বাধ্যও নয়।
গবেষকরা অবশ্য নারীদের নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেননি। এমন কি উভয়
গবেষণায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নারী অংশ নেওয়ার পরও নয়। মন্তব্য করাটা আসলে
সহজও নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন_’নারীর মন, সহস্র বছরের সাধনার ধন।’ সেই
মনের প্রতিভাস মুখের গড়নে সহজেই পড়ে ফেলাটা কি এতই সোজা? তার জন্য বরং
চলুক, আরো লম্বা সময়ের গবেষণা। সূত্র : লাইভ সায়েন্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া
অনলাইন।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Man,
Philosophy,
Thesis,
গবেষনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment