সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর
খেলার মাঠে সাফল্যের জন্য কী দরকার? আত্মবিশ্বাস, যোগ্যতা, উদ্যম, চেষ্টা। আর
কিছু? আরো একটি বিষয় অনেকের কাছে জয়ের জন্য দরকারি হয়ে পড়ে; প্রার্থনা।
ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, টেনিস, বাস্কেটবল_যা-ই হোক না কেন, খেলা চলার সময়
অনেক খেলোয়াড়কেই দেখা যায় নিজ নিজ ধর্মের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে ওই ধর্মের রীতি
অনুযায়ী ঈশ্বরকে স্মরণ করতে। কেউ
কপালে-বুকে ক্রস আঁকে, কেউ ঝুঁকে মাটি ছুঁয়ে সালাম জানায়, কেউ ওপরে খোলা
দূর আকাশের ঈশ্বরকে একবার দেখে নেয়। কিন্তু এ প্রার্থনা সত্যিই কি কোনো কাজে আসে
খেলোয়াড়দের? প্রার্থনায় সত্যিই কি মন গলে বিধাতার? গবেষকরা বলছেন, খেলার মাঠে
প্রার্থনায় ‘ঈশ্বর’ সত্যিই সদয় হয়।
সিউল
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কোরিয়ার ক্রীড়াবিদদের ওপর প্রার্থনার প্রভাব বিষয়ে এক
গবেষণা শুরু করেন ২০০০ সালে। এতে তিনি দেখতে পান,
খেলার মাঠে করা প্রার্থনা খেলোয়াড়দের তাদের মনের যাবতীয়
দুশ্চিন্তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা জোগায়। শুধু এটিই নয়, এর পাশাপাশি প্রার্থনা খেলোয়াড়দের
তাদের যোগ্যতা ও ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ঘটিয়ে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত
করে।
বিষয়টি নিয়ে আরো কয়েক দশক আগে থেকেই
বিভিন্ন গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। সেগুলোতেও প্রার্থনার ইতিবাচক ফলই পাওয়া গেছে।
সেসব গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন,
ঈশ্বরের অস্তিত্ব সত্যিই আছে কি নেই, সেটি বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে মানুষের মনের গভীরে
থাকা বিশ্বাস। আর এ বিশ্বাস থেকেই মানুষ অনেক সময় অনেক বড় বাধা ডিঙিয়ে যাওয়ার
সামর্থ্য অর্জন করে। কাজেই ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসের ব্যাপারটিকে
আলোচনা-সমালোচনার বাইরে রেখে ঈশ্বরের প্রতি এ বিশ্বাসের প্রভাবটি কী দাঁড়াচ্ছে, সেটিই এখানে মূল বিবেচ্য।
শুধু খেলাই নয়, বিভিন্ন গবেষণা ও তথ্য-উপাত্ত
বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, খেলা ছাড়া আরো অনেক বিষয়েই ঈশ্বরের
প্রতি বিশ্বাস ও প্রার্থনার ফলে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের দেশের
অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সৃষ্টিকর্তা বা তাঁর কোনো
পীর-দরবেশ-অলির নামে অনেক সময় ঝাড়-ফুঁক বা পানি পড়া-তেল পড়া দেওয়া হচ্ছে। এসব
ঝাড়-ফুঁকে কিংবা পড়া পানি বা তেলে অনেক সময় অনেকের রোগ সেরেও যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও
শারীরবিজ্ঞানের মতে, এর কারণ ঈশ্বর নয়, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। ঈশ্বরের
প্রতি বিশ্বাস আর ‘ঈশ্বর আমাকে সুস্থ করে তুলবে’_এ বিশ্বাসের ফলে রোগীর মনে এবং
চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন আসে। আর ইতিবাচক এসব চিন্তাভাবনার ফলে শরীরেও
ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে যা বিচিত্র কিছু নয়। গবেষকদের মতে, এর বাস্তব ভিত্তি রয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন, বিশ্বাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি কথা আছে ‘প্লেসবো’। একে বলা যেতে পারে ‘মিথ্যা ওষুধ’। কখনো কখনো কোনো রোগী বিশ্বাস করতে
চায় না যে তার শরীরে কোনো রোগ নেই, রোগটি
তার মনে_তার মনে হচ্ছে সে অসুস্থ, আসলে তা সত্যি নয়। এসব ক্ষেত্রে
রোগীরা ‘আপনার কোনো ওষুধ লাগবে না, এমনিই সব সেরে যাবে’_ডাক্তারদের এমন কথায় ঠিক ভরসা রাখতে
পারে না, ফলে তারা আর ‘সুস্থ’ও
হয় না। বিবেচক ডাক্তাররা একসময় রোগীদের ‘এবার
খুব কড়া ওষুধ দিচ্ছি, রোগ সারবেই’_এমন একটা ভাব করে আসলে শুধু রোগীকে
বিষণ্নতা কাটানোর বা ঘুমের অথবা কখনো কখনো শুধু ভিটামিন জাতীয় কিছু একটা ওষুধের
নাম লিখে দেন। কয়েক দিন পরই রোগী খুশি, ‘বেশ
ভালো ওষুধ দিয়েছেন ডাক্তার সাহেব, আমি
সুস্থ হয়ে গেছি।’ এই মিথ্যা ওষুধ বা মিথ্যা চিকিৎসাই
হলো প্লেসবো।
গবেষকদের বক্তব্য হলো, এ প্লেসবো ইফেক্টের কারণেই আসলে
খেলোয়াড়রা প্রার্থনার পর অধিকাংশ সময় ভালো ফল পায়। ‘ঈশ্বর
আমার সঙ্গে আছেন, কাজেই জয় আমার সুনিশ্চিত’_এমন বিশ্বাস ও ভরসা আসলে খেলোয়াড়দের
মধ্যেও প্লেসবো ইফেক্ট ঘটায়। এতে করে খেলোয়াড়রা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
আর বাড়তি আত্মবিশ্বাসের বদৌলতে তারা সব দুশ্চিন্তা ও ভয় কাটিয়ে উঠে তাদের সেরা
পারফরম্যান্সটি দেখাতে সক্ষম হয় বেশির ভাগ সময়ই।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল
হিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক অ্যান হ্যারিংটন জানিয়েছেন, মানুষের শরীরের রয়েছে চমৎকার কিছু
ক্ষমতা। মনের গভীরে চূড়ান্ত বিশ্বাসের সঙ্গে মানুষ যা ভাবে, ইতিবাচক ও আশাবাদী পরিবেশের প্রভাবে
প্রায়ই তা বাস্তবে পরিণতি পায়। গবেষকরা বলছেন, ঈশ্বরের
অস্তিত্ব থাকা না থাকা বড় কথা নয়, তাকে
মনে করে প্রার্থনায় অবশ্যই সুফল পাওয়া যায়, যদি
তার প্রতি সত্যিকার বিশ্বাস থাকে_তবেই।
সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Philosophy,
Thesis,
গবেষনা,
দর্শন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment