সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
কী ঘটেছিল চে’র ভাগ্যে?
কিংবদন্তি
বিপ্লবী চে গুয়েভারা গিয়েছিলেন বলিভিয়ার নিপীড়ক শাসককে উৎখাত করে নিপীড়িত মানুষকে
মুক্ত করার লক্ষ্যে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আক্ষরিকভাবে পূর্ণ হয়নি তার। ধরা পড়ে যান
তিনি। হন নিহত। কীভাবে ধরা পড়ে গেলেন তিনি, কী-ই বা
ঘটেছিল তার নিজের ও সহযোদ্ধাদের ভাগ্যে_ বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক রিচার্ড গটের গবেষণা গ্রন্থ ‘গেরিলা মুভমেন্টস ইন লাতিন
আমেরিকা’ অবলম্বনে
সে কথা জানাচ্ছেন রুদ্র আরিফ
নদীর নাম
রিও গ্রাঁদ। অতিকায় এ নদীর উৎপত্তি বলিভিয়ার হৃৎপিণ্ডে। যাত্রা শেষ আমাজনে। এ নদীর
শুরু এক গিরিপথের নাম কুব্রাদা দেল জুুরু। ৮ অক্টোবর ১৯৬৭, রোববার, সকাল। গাছে ঢাকা কুব্রাদা
গিরিপথে লুকিয়ে আছেন ১৭ গেরিলার একটি দল। এ দলের সর্বাধিনায়ক চে গুয়েভারা। মাথার
ওপরে বিপদ ভয়ঙ্কর। ভেসে আসছে সৈন্যদের হাঁটাচলার শব্দ। গেরিলারা বুঝলেন, ধরা পড়ার মতো চরম কঠিন
পরিস্থিতিতে পড়ে গেছেন তারা। দৃশ্যত, বৃত্তাকারে ঘিরে ফেলা হয়েছে তাদের। পালানোর একমাত্র পথ_ উপত্যকা ধরে হামাগুঁড়ি দিয়ে
মূল নদীতে গিয়ে পড়া। সঙ্গীদের সতর্ক করে চে জানালেন, দুপুর একটার আগেই যদি তারা গোলাগুলিতে জড়িয়ে যান, তাহলে সেটা তাদের জন্য
খারাপ হবে খুব। কিন্তু কোনো ধরনের গুলিবিনিময় ছাড়া যদি বেলা চারটা পর্যন্ত টিকে
থাকতে পারেন, তাহলে
তারা হয়তো থাকবেন নিরাপদেই এবং রাতের অন্ধকারে পারবেন পালিয়ে যেতে এই ঘেরাটোপ
থেকে।
চে তার
ছয়জন কমরেডকে বললেন, দলের মূল
অংশটি গিরিপথের মাটির সঙ্গে মিশে মিশে পালিয়ে যাওয়ার সময় যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে তারা যেন কাভারিং
ফায়ার করেন। এ জন্য কমরেডদের মধ্যে তিনি বেছে নিলেন ইন্তি পেরেদোকে_ যিনি কি-না দুই সপ্তাহ আগে
তার ভাই কোকো মৃত্যুবরণ করার পর বলিভিয়ান গ্রুপের নেতা হয়ে উঠেছেন। চে আরও দু’জন বলিভিয়ানকে রাখলেন এই
দলে। একজনের নাম দারিও, অন্যজন
ন্যাতো। আর বাকি তিনজন হলেন কিউবান_ পম্বো, বেনিঙ্গো
ও আরবানো। আট বছরেরও অধিক সময় ধরে চে’র দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছেন এই পম্বো।
১টা
বাজার অল্প কিছুক্ষণ আগে গোলাগুলি শুরু হয়ে গেলে এই সুইসাইড স্কোয়াডটি ঠিক পজিশনে
গিয়ে উঠতে পারেনি। চে গুয়েভারার নেতৃত্বে মূল দলটি ক্ষিপ্রতার সঙ্গে উপত্যকার
নিচের দিকে নেমে যেতে থাকেন_ রিও
গ্রাঁদ নদীর উদ্দেশে। কিন্তু তাদের জানা ছিল না, ইতিমধ্যেই তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং তারা যাত্রা
শুরুর বেশি সময় আগে না হলেও পুরো উপত্যকা এখন পাহারা দিচ্ছে সৈন্যরা। এই
ক্রান্তিকালে আপাতদৃষ্টিতে স্ববিরোধী ঘটনা ঘটে যায়। সুইসাইড স্কোয়াড সবচেয়ে
বিপজ্জনক কাজটি উৎরে যায় বেড়াজাল থেকে পালাতে সক্ষম হয়ে। চে গুয়েভারার দলের জন্য
দৌড়ে এই অতিশক্তিমান প্রতিপক্ষের বলয়ের বাইরে যাওয়া ছাড়া সহজ কোনো পথ ছিল না।
ছুটতে
গিয়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন চে। তবু ছুটেন বলিভিয়ান কমরেড উইলির সহায়তা নিয়ে। এ
প্রসঙ্গে পরবর্তী সময় চিলিতে পালিয়ে যাওয়া পম্বো বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে [চে] সাহায্য
করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটা অসম্ভব ছিল। আমরা ছিলাম সামান্য ক’জন, আর ওরা অসংখ্য।’
চে আর
উইলি ধরা পড়েন; সঙ্গে
প্যাচো ও এল চিনো। চারজনই আহত। যদিও জনৈক বলিভিয়ান অফিসার বেতার বার্তায়
হেলিকপ্টার চাইলেন; কিন্তু
সেটা উপত্যকার ভূমিতে অবতরণের মতো অনুকূল পরিস্থিতি তখনও হয়নি; কেননা, গোলাগুলি চলছে। বন্দিদের লা
হিগুয়েরা গ্রামের কাছাকাছি নেওয়া হলো। সেখানে ভ্যালেগ্রাঁদ সেনা সদর দফতর থেকে উড়ে
এলো একটি হেলিকপ্টার। সেটি বয়ে আনল একজন বলিভিয়ান কর্নেলকে এবং ফেলিক্স রামোসকে।
এই রামোস হলেন একজন নির্বাসিত কিউবান, সিআইএ যাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং গত কয়েক মাস যিনি সান্তা ক্রুজের
আউটসাইডে মার্কিন আর্মি বেইজে সংযুক্ত আছেন। চে গুয়েভারাকে রামোস কিউবা থেকেই
চিনেন বলে তার ওপর তার কর্তাদের বিশ্বাস আছে; চে-কে তিনি জেরা করলেন, কিন্তু কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারলেন না।
অবশ্য
সেনা কর্তৃপক্ষের মূলনীতি অনুসারে ধরা পড়ার পরপরই গুয়েভারাকে গুলি করে হত্যার
সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছিল_ সেনাদের
হাতে পড়লে শতকরা নব্বই ভাগ গেরিলার ভাগ্যে এটাই জুটে; তবু প্রশাসনিক রাজধানী লা
পাজ থেকে সরাসরি অথরাইজেশন না পাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ সম্পন্ন করার ব্যাপারে
বলিভিয়ান সৈন্যরা উদ্বিগ্ন হলো না। আর সেটা তৎক্ষণাৎ না আসায় ঘটনাক্রমে সেই রাতটি
চে কাটালেন লা হিগুয়েরায়। ভ্যালেগ্রাঁদে তিনি জীবিতই উড়ে এলেন, সেখানে দুই-তিনজন স্থানীয় ও
বিদেশি প্রতিনিধি ছিলেন। পরবর্তীকালে অফিসিয়াল স্টোরিতে যা বলা হলো, সেটাকে ধারণ করা অসম্ভব; সেখানে বলা হলো, যুদ্ধে চে জখম হয়েছেন এবং
সেই জখমের কারণেই মারা গেছেন।
গ্রেফতারকৃত
ব্যক্তিটি সত্যিকার অর্থেই যে চে গুয়েভারা_ সেটা নিশ্চিত করতে পরের দিন সকালে সেই এলাকার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল
হুয়াকিন জেন্তেনো ভ্যালেগ্রাঁদ থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে এলেন। আগের দিনের যুদ্ধে নিহত
দুই বলিভিয়ান সৈন্যের মৃতদেহ নিয়ে ৯টা বাজার একটু আগে লা হিগুয়েরা থেকে
ভ্যালেগ্রাঁদের পানে উড়াল দিল একটি হেলিকপ্টার। সকাল শেষ হতেই সেটি আবার ফিরে এলো।
এবার সঙ্গে নিয়ে এলো একটি পত্র। মৃত্যুদ াদেশপত্র। আদেশ দেওয়া হলো বেতারে।
স্বাক্ষর দিলেন প্রেসিডেন্ট জেনারেল বারিয়েন্তোস এবং আর্মড ফোর্সের কমান্ডার ইন
চিফ জেনারেল অবান্দো। চে গুয়েভারাকে রাখা হলো গ্রামের স্কুলের একটি রুমে। এবং
তারপর তাকে গুলি করলেন এক তুচ্ছ বলিভিয়ান সার্জেন্ট_ মারিও তেরান। এর পরপরই উইলিসহ অন্য বন্দিদের
একইভাবে হত্যা করা হলো।
বেলা
১টায় জেন্তেনো ভ্যালেগ্রাঁদে ফিরে গেলেন এবং অপেক্ষাকৃত সাংবাদিকদের জানালেন যে, চে গুয়েভারা মৃত। সন্ধ্যা
৫টার দিকে অতি ব্যস্ত হেলিকপ্টারটি চে’র মৃতদেহ লা হিগুয়েভারা থেকে উড়িয়ে এনে রাখল ভ্যালেগ্রাঁদের
হাসপাতালের লন্ড্রিতে। এখানে আরেক সিআইএ কর্মী ইদুয়ার্দো গঞ্জালেস তার গবেষণা
সম্পন্ন করলেন। রামোসের মতো এই লোকটিও নির্বাসিত কিউবান।
সেই
সোমবার এবং তার পরের দিন চে’র মৃতদেহ
পরিদর্শন করার সব ধরনের সুযোগ দেওয়া হলো সাংবাদিকদের। তবে বুধবারে সেটা দেখা
যায়নি। এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়তে থাকে। তাতে বেশি ডালা ছড়ায় যে তথ্যটি, সেটি হলো_ এই দৃশ্যপটে হাজির হতে
বুয়েনস আইরেস থেকে একটু দেরিতে হলেও রওনা দিয়ে দেওয়া চে গুয়েভারার ভাই যেন
মৃতদেহটি পরীক্ষা করতে না পারেন,
সেজন্যই বলিভিয়ান কর্তৃপক্ষ এমনটা করছেন। মানে, কাউকে আর দেখতে দিচ্ছেন না।
তখন সেখানে একটার পর একটা বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়াতে থাকে। কেউ বলেন, মৃতদেহটির কবর দেওয়া হয়ে গেছে, কেউ বলেন পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, কেউ বা বলেন মৃতদেহের হাত ও
মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। আসলে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দু’জন বলিভিয়ান অফিসার ও আরেকজন সিআইএ কর্মীর
পরিবেষ্টনে ছোট্ট একটি প্লেনে করে মৃতদেহটি ভ্যালেগ্রাঁদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। আর
সেটির চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল থেকে যায় অজানা। কারও কারও মতে, এটি হয়তো পানামায় আমেরিকান
বেইজে নিয়ে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। কিংবা হয়তো জনমানবশূন্য কোনো জায়গায় প্ল্যান
থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি। ঘটনা সে যাই ঘটিয়ে থাকুক, এটা নিশ্চিত যে, চে’র মৃতদেহ কোনোদিনই খুঁজে
পাবে না কেউ।
এ নিয়ে
যে কোনো ধরনের তদন্তকে দমন করেছে বলিভিয়ানরা।
যেসব
সিনিয়র অফিসার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বেশি বলেছেন, তাদের হয় কঠোর তিরস্কার করা হয়েছে, নয়তো আটকে দেওয়া হয়েছে
তাদের পদোন্নতি। আর জুনিয়রদের স্কলারশিপ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশে। লা
হিগুয়েরার সেই স্কুলরুমটিকে চে গুয়েভারার মৃত্যুদ কার্যকরের চিহ্ন হিসেবে তৎক্ষণাৎ
দেওয়া হয়েছে বন্ধ করে, এবং করা
হয়েছে ধ্বংস করে দেওয়ার তফসিল। কিন্তু বাস্তব সাক্ষ্যপ্রমাণ যখন সরিয়ে দেওয়া হয়, শক্তিমান এক মিথ তো তখন হয়ে
উঠে জীবিত।
রোববার
সকালে কুব্রাদা দেল জুরোতে ১৭ গেরিলার যে দলটি টগবগ করছিল, পরের দিন দুপুরেই তাদের
মধ্যে সাতজন হয়ে গেলেন লাশ। গুয়েভারার সঙ্গে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তারা ছাড়াও লাশ হয়ে গেলেন
দুই কিউবান কমরেড_ আর্তুনো
ও আন্তনিও এবং বলিভিয়ান কমরেড আনিসেতো। তারা মারা যান রোববার দুপুরে, লড়াই করতে করতে। চে’র মূল দলের ১১ জনের মধ্যে
কেবল চারজন বেঁচে গিয়েছিলেন সে যাত্রায়_ বলিভিয়ান গেরিলা পাওলো ও চাপাকো, পেরুভিয়ান গেরিলা আস্তাকুই এবং কিউবান গেরিলা মোরো_ মাঝে মধ্যে যাকে ‘এল মেডিকো’ নামে ডাকা হতো।
বেঁচে
যাওয়া চারজনের এই গ্রুপ আর কখনোই ইন্তি পেরেদোর নেতৃত্বে থাকা ছয়জনের গ্রুপের
সঙ্গে পুনর্মিলিত হতে পারেনি। ইন্তির গ্রুপ যেখানে সেনাদের কঠিন বলয়কে ভেঙে বেরিয়ে
যেতে পেরেছে, এই চারজন
সেখানে ভেতরেই আটকা পড়েছেন। ১২ অক্টোবর তারা পোতরেরো এল নারাঞ্জালে দু’বার সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই
করেছেন এবং হত্যা করেছেন চার সৈন্য ও এক গাইডকে। কিন্তু ১৪ অক্টোবর তারা ধরা পড়ে
যান দুই নদী রিও মিজক ও রিও গ্রাঁদের মিলনাস্থলে সৃষ্ট দ্বীপ এল কাহোনে। তারা
চেষ্টা করছিলেন নদী পেরোনোর। রাতের বেলা বন্দিদশায় ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা
করা হয় তাদের।
ইন্তির
সুইসাইড স্কোয়াড খুবই ভাগ্যবান। তারা ওই এলাকায় এক মাসেরও অধিক সময় থেকে যান। এ সময়
একমাত্র এল ন্যাতোকে হারান তারা। ১৫ নভেম্বর মাতারাল থেকে ১৫ কিলোমিটার
দক্ষিণ-পূর্বদিকের এক সংঘর্ষে নিহত হন ন্যাতো।
বেঁচে
যাওয়া তিন কিউবান ও দুই বলিভিয়ান কমরেড কোচাবাম্বায় অতি কষ্টে টিকে থাকেন
সমর্থকদের সহায়তায় লুকিয়ে থেকে। দুই বলিভিয়ান ইন্তি ও দারিও বলিভিয়াতেই থেকে যাবেন
বলে ঠিক করেন। তবে তিন কিউবান_
পম্বো, বেনিঙ্গো
ও আরবানো শহরটির অন্য দুই বলিভিয়ানের পরিবেষ্টনে পথে পথে ঘুরে চিলিতে গিয়ে পেঁৗছেন
১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেখান থেকে নিজ দেশের রাজধানী হাভানায় চলে যান তারা।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Famous,
History,
Mysterious,
Personality,
Thesis,
ইতিহাস,
গবেষনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- EARN MONEY ONLINE
- 10 Surprising Facts About Headaches
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- গীতা সারাংশ
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
Popular Posts Last 7 Days
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- Free Web Hosting Sites
- 10 Surprising Facts About Headaches
- EARN MONEY ONLINE
- গীতা সারাংশ
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment