সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
মানুষ সৃষ্টি হয়েছে মাছ থেকে!
মাছ
থেকে সব মেরুদণ্ডী প্রাণের উদ্ভব হয়েছে_বিবর্তনবাদী
বিজ্ঞানীদের এ দাবি অনেক দিনের। তবে অবিশ্বাসীদের মন জয় করার পেছনে খুব বেশি
বাস্তবসম্মত তথ্য-প্রমাণও বিবর্তনবাদীদের হাতে এত দিন ছিল না। শুধু বিভিন্ন সময়ে
হাতে পাওয়া হাজার কিংবা লক্ষ বছর আগের ফসিল বিশ্লেষণ করে এ দাবি করেছেন তাঁরা। ফলে
এহেন দাবিকে জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি। তবে
এবার আর ‘মান্ধাতা আমলের’ কোনো ফসিল ঘেঁটে নয়, সরাসরি একেবারে মানুষের শরীর
বিশ্লেষণ করে বিবর্তনবাদীরা দেখিয়েছেন, মাছই
মানুষের উৎস।
বিভিন্ন
হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন নারীর গর্ভাবস্থার উচ্চ প্রযুক্তিতে তোলা
ছবি (স্ক্যান) বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন, মাছ থেকেই মানুষের উৎপত্তি হয়েছে।
গবেষকদলের সদস্য ড. মাইকেল মোজলে বলেন, ‘মানুষের
চেহারাই হলো তাঁর অভিব্যক্তি, ব্যক্তিত্ব
এমনকি তার পরিচয়ের মূল নিদর্শন। আবার পৃথিবীতে অবিকল একই রকম দুটি চেহারা নেই।
চেহারা মানুষের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। আর এ চেহারা তৈরি হয় দুটি চোখ, একটি নাক, একটি মুখ আর দুটি ঠোঁট নিয়ে। এর
সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে থাকে নাকের একেবারে নিচে ওপরের ঠোঁটের মাঝখানের খাঁজটি। এ
খাঁজটি হলো ফিলট্রাম। আর এ ফিলট্রামই মাছ থেকে আমাদের উদ্ভবের প্রমাণ।’
গবেষকরা
জানিয়েছেন,
গর্ভাবস্থার ছবি থেকে
দেখা গেছে,
ভ্রূণের বয়স দুই মাস
পূর্ণ হওয়ার আগেই মূলত মানুষের (ভ্রূণের) চেহারার আদলটি গড়ে ওঠে। এ কাজটি সম্পন্ন
হয় তিনটি পর্যায়ে। ভ্রূণের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে সেটি অন্য যেকোনো ধরনের
প্রাণীর ভ্রূণের মতোই দেখতে হয় যেগুলোর উৎপত্তি মাছ থেকে হয়েছে। এ ছাড়া চেহারা
গঠনের প্রথম পর্যায়ে মাছ বা এর থেকে বিকশিত অন্য প্রাণীদের মতোই মানুষেরও চোখ দুটি
থাকে মুখের দুই পাশে। পরে চোখ দুটি মুখের মাঝখানে এসে স্থির হয়। ওপরের ঠোঁট ও
চোয়াল এর আশপাশের অন্যান্য অংশসহ ঘাড় থেকে তৈরি হয়ে পরে যথাস্থানে এসে বসে। এর আরো
পরে নাসারন্ধ্র ও ওপরের ঠোঁটের মাঝখানের অংশ মাথার ওপরের দিক থেকে নিচের দিকে নেমে
এসে জুড়ে যায়। এভাবে তিনটি পর্যায়ে বিভিন্ন দিক থেকে মুখের একেকটি অংশ একসঙ্গে
জুড়ে যায়। আর কাজটি এতই নিখুঁতভাবে ঘটে যে, এই
জোড়াগুলো লাগার কোনো চিহ্নই আর থাকে না_একটিমাত্র
চিহ্ন ছাড়া। এটি হলো সেই ফিলট্রাম।
গবেষকরা
জানিয়েছেন,
ভ্রূণের দুই মাস বয়সের
মধ্যে চেহারার এ আদল তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াটি অসম্ভব রকমের জটিল। এটি সমাধা হতে হয়
একেবারে সময় মেপে মেপে। চেহারার যে অংশটি যে সময়ে এসে জুড়তে হবে তাতে যদি নূ্যনতম
হেরফেরও ঘটে,
তাহলেই ভ্রূণের তথা সেই
মানুষটির চেহারা দেখতে বিকৃত হয়ে উঠবে। যেমন, কোনো
একটি অংশ অপরটিতে এসে জুড়ে যাওয়ার মধ্যে যদি মাত্র একটি ঘণ্টাও এদিক-সেদিক হয়, তাতেই যে চেহারা দাঁড়াবে তা
রীতিমতো অকল্পনীয়। সারা বিশ্বের এক হিসাবে দেখা গেছে, সঠিক সময়ে না হওয়ার কারণে প্রতি
৭০০ শিশুর মধ্যে একটি শিশু এমন বিকৃত চেহারা নিয়ে জন্মায়।
শুধু
চেহারা বা ফিলট্রামই নয়, গবেষকরা
প্রমাণ হাজির করেছেন আরো অনেক বিষয়ের। তাঁরা বলছেন, মেরুদণ্ডী মাছের আদর্শ হচ্ছে
হাঙ্গর। আর হাঙ্গরের শরীর ব্যবচ্ছেদ করলে দেখা যাবে, এর বুকের কাছাকাছি যকৃতের পেছনে
রয়েছে ‘গোনাড’। এ গোনাড মানুষের মধ্যেও একইভাবে
রয়েছে। নারীদের শরীরে এ গোনাড বিবর্তনের ধারায় পরিণত হয়েছে তাদের জরায়ুতে, যা হাঙ্গরের দেহের তুলনায় একটু
নেমে গিয়ে মূত্রাশয় ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। আর পুরুষদের
ক্ষেত্রে এ গোনাড তাদের অণ্ডকোষে পরিণত হয়, যা
আবার জরায়ুর অবস্থানের চেয়ে আরো অনেক নিম্নবর্তী। মাছ থেকে মানুষের দেহে বিবর্তনের
কারণে গোনাডের ধরন ও অবস্থানের এ পরিবর্তন ঘটে। এতে বুকের কাছ থেকে গোনাডের আস্তে
আস্তে নিচে নেমে যাওয়ার প্রক্রিয়াটির আরেকটি প্রমাণ হলো ক্ষুদ্রান্ত্র ও
বৃহদান্ত্রের দেয়ালের মাংসপেশিতে সৃষ্ট দুর্বলতা। গোনাডের নিম্নগামী গতির কারণে এ
দুর্বলতা তৈরি হয়। আর নারীর তুলনায় পুরুষের দেহে গোনাড যেহেতু আরো বেশি নিচে নেমে
এসেছে, তাই গোনাডের আরো বেশি পথ পাড়ি
দেওয়ার কারণে পুরুষের দেহে এ দুর্বলতা
অনেক বেশি। ফলে নারীর তুলনায় পুরুষের মধ্যে হার্নিয়ার প্রকোপ বেশি হয়।
আরো
একটি বিষয়ে প্রমাণ হাজির করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেটি হলো হেঁচকি ওঠা। গবেষকরা বলছেন, মানুষের ডায়াফ্রাম (বুক ও পেটের
মাঝখানের পাতলা পর্দা) হেঁচকি ওঠার পেছনে বেশ বড় ভূমিকা রাখে। এ ডায়াফ্রাম ও
হেঁচকি ওঠার যে প্রক্রিয়া, তা
এসেছে মাছ থেকে যা কেবল মাছ ও মাছ থেকে বিকশিত প্রাণীদের মধ্যেই অবিকল কাজ করে।
সুতরাং,
গবেষকদের দাবি, এত সাদৃশ্যের পর আর এ নিয়ে
সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই যে মানুষ মাছ থেকেই এসেছে। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Life,
Man,
men,
Mysterious,
Thesis,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
বির্বতনবাদ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- EARN MONEY ONLINE
- 10 Surprising Facts About Headaches
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- গীতা সারাংশ
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
Popular Posts Last 7 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- Free Web Hosting Sites
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- 10 Surprising Facts About Headaches
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- EARN MONEY ONLINE
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment