০ ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন বহন করা দোষের কিছু নয়। এতে লজ্জিত বা হীনম্মন্যতায় ভোগার কিছু নেই।
০ বিবাহিত জীবনে আপনার সঙ্গীর যদি ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন না থাকে, তাহলে মোটামুটিভাবে আপনি বিপদমুক্ত। আপনার সন্তান এ রোগের বাহক হবে কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত: ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে সারা বিশ্বে পালিত হয়। আমাদের দেশও এ থেকে ব্যতিক্রম নয়। বহু আলোচনার মধ্য দিয়ে দিবসটি এবারও পালিত হলো অন্যান্য বছরের মতোই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটির বেশি লোক বিভিন্ন ধরনের বিটা থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করে। ফলে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে জটিল থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে।
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করানো।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১০ গ্রাম বা ডেসিলিটার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের টিকা নেওয়া।
শিশুরোগীর ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস অন্তর উচ্চতা, ওজন, লিভার ফাংশন টেস্ট করাতে হবে।
আট থেকে ১০ ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পর রক্তে লৌহের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে।
রক্তে লৌহের মাত্রা এক হাজার ন্যানো গ্রাম বা মিলি লিটারের ওপরে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
বিশুদ্ধ রক্ত পরিসঞ্চালন করা।
শিশুর প্রতিবছর বুদ্ধি ও বিকাশ পর্যবেক্ষণ করা।
এ রোগ প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই, তাই চলুন—
সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি বাড়াতে প্রচারের সাহায্য নিই টেলিভিশন বা পত্রিকার মাধ্যমে।
বিনা মূল্যে সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগ নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করি।
বংশবিষয়ক পরামর্শকেন্দ্র স্থাপন।
গর্ভাবস্থায় রোগ নির্ণয় নিশ্চিতকরণ।
ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিনের বাহকদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করতে হবে বা বিয়ে করলেও তাঁরা সন্তান নিতে পারবেন না।
আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই সহজ।
সহযোগী অধ্যাপক, হেমাটোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১১, ২০১১
0 comments:
Post a Comment