সৌন্দর্যের প্রতি সবারই রয়েছে স্বাভাবিক দুর্বলতা। নিজেকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে, বিশেষ করে নারীরা ধরনা দিচ্ছে প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে। উন্নত বিশ্বে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে রাতারাতি পাল্টে ফেলা সম্ভব হচ্ছে সামগ্রিক দৃশ্যপট। এ সৌন্দর্য বাড়াতে মেমোপ্লাস্টির ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এটি এমন ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি যাতে স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ ছোট স্তনকে শরীরের সঙ্গে মানানসই আকার যেমন দেয়া হচ্ছে তেমনি বেমানান বড় আকারের স্তনকেও ছোট করা সম্ভব মানুষের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয় তাকেই এইস্তেটিক বা কসমেটিক সার্জারি বলা হয়। এ নামকরণ এসেছে গ্রিক শব্দ ‘কড়ংসবঃরপড়ং’ থেকে_ যার মানে সৌন্দর্যবৃদ্ধি করা (ঃড় নবধঁঃরভু)। তাই এ ধরনের সার্জারি কসমেটিক সার্জারির অন্তর্ভুক্ত।
অগমন্টেশন মেমোপ্লাস্টি_ এখানে ছোট স্তনকে বড় করা হয়। রিডাকশন মেমোপ্লাস্টি- এ ক্ষেত্রে বড় স্তনকে ছোট করা হয় এবং মাস্টোপেক্সি_ এখানে ঝুলে পড়া স্তনকে স্বাভাবিক অবস্থানে নিয়ে আসা হয়।
অনেকে মনে করেন, এতে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে- যা সম্পূর্ণ অমূলক। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে ইমপ্লান্ট ব্যবহারকারী অব্যবহারকারীর তুলনায় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি না। এখানে মনে রাখতে হবে ইমপ্লান্ট স্তনের ভেতর বসানো হয় না, স্তনের পেছনে বসানো হয়। ফলে অহেতুক ক্যান্সারে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। শুধু ইমপ্লান্ট ব্যবহারে ক্যান্সার হয়। এ ধারণা মোটেও সঠিক নয়। এ অপারেশনটি করা হয় স্তনের সবচেয়ে নিচের স্থানে (সাব ম্যামারি ফোল্ড) ছোট করে কেটে। ফলে বাইরের থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় কাটা দাগ বোঝা যায় না। সৌন্দর্যহানির তো প্রশ্নই ওঠে না। বরং আগের চেয়ে আপনার সৌন্দর্য বেড়ে যাবে দ্বিগুণ। এ অপারেশনের পর বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে কোনো সমস্যা হয় না, ফিলিংস বা সেনসেশনে ব্যাঘাত ঘটবে না। সাধারণত এ অপারেশনের পর হাসপাতাল থাকতে হয় না।
এফআইসিএস (ইউএস), এফএসসিএস (ইউএসএ)
প্লাস্টিক সার্জন
0 comments:
Post a Comment