বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর এবং ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যগণ গণপরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হয়। গণ-পরিষদের সদস্য ছিল ৪৩০।
সংবিধানের সংশোধনী : বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৪ বার সংশোধনী আনা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। সংবিধান সংশোধনের জন্য ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে অনুমোদন দিতে হয়। সংবিধানের ১৪২ ধারা বলে এই সব সংশোধনী সমূহ আনা হয়েছে।
চতুর্থ সংশোধনী: উত্থাপন করা হয় ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫। গৃহীত হয় ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনও লাভ করে একই দিন অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫। এটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত সংশোধনী। এর মাধ্যমে ১৯৭২ এর সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র ভূ-লুণ্ঠিত করা হয় এবং স্বৈরাচারী ব্যবস্থার গোড়াপত্তন করা হয। এটি ছিল এদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত এক দিনে একটি বিল পাশ হওয়ার ঘটনা। এ সংশোধনীর মাধ্যমে মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকারের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, উপ-রাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি, সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও সংসদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি প্রভৃতি বিধান সংযোজিত হয়। এর মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আজীবন প্রেসিডেন্ট হয়ে থাকা ও একমাত্র ক্ষমতাসীন দলের অস্তিত্বের বিপরীতে অন্য সকল রাজনৈতিক দলকে বেআইনি ঘোষণার ব্যবস্থা করা হয। এর দ্বারা রাষ্ট্রপতির ব্যাপক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয। যার মধ্যে মন্ত্রীপরিষদ ও উপরাষ্ট্রপতিকে তার কাছে জবাবদিহি করা, যে কোন সময়ে মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেয়ার অধিকার, যে কোন আদেশ দান ও চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা, রাষ্ট্রপতিকে আইনের উর্ধ্বে রাখা, প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বাধিনায়ক করাসহ প্রভূতি বিষয় নিশ্চিত করা হয়। এর মাধ্যমে সংসদ একটি গুরুত্বহীন ও ক্ষমতাহীন বিভাগে পরিণত হয়। নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় স্থানান্তরিত হয় এবং রাষ্ট্রপতিকে এক ব্যাপক ক্ষমতাধর স্বৈরাচারী শাসক হবার সব রকমের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
১. ৩০ নং আইনের ধারা বলে ২(ক) অনুচ্ছেদে সংযোজন, যেখানে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে।
১. অধিকাংশ সংসদ সদস্যগণের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ।
১. ৪৫টি সংরক্ষিত মহিলা আসন আগামী ১০ বৎসরের জন্য সংরক্ষন এবং আনুপাতিক হারে আসন বন্টন।
২. রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি সরকারী অফিসসহ নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষন ও প্রদর্শন।
৩. সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৫ থেকে ৬৭, বছর মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বয়স নিয়োগ লাভের তারিখ হতে ৫ বছর বা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত এবং সরকারি কর্মকমিশনের সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যদের বয়স ৬২ থেকে ৬৫ তে উন্নীত করণ।
৪. নির্বাচনের পর নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ করাতে স্পীকার ব্যর্থ হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
সংবিধানের বিভাগ, বিষয় ও অনুচ্ছেদে
অধ্যায়/ভাগ বিষয় অনুচ্ছেদ
প্রথম প্রজাতন্ত্র ১-৭
১ম পরিচ্ছেদ-রাষ্ট্রপতি ৪৮-৫৪
২য় পরিচ্ছেদ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা ৫৫-৫৮(ক)
৩য় পরিচ্ছেদ-স্থানীয় শাসন ৫৯-৬০
৪র্থ পরিচ্ছেদ-প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ৬১-৬৩
৫ম পরিচ্ছেদ-অ্যাটর্নি জেনারেল ৬৪
১ম পরিচ্ছেদ-সংসদ ৬৫-৭৯
২য় পরিচ্ছেদ-আইন প্রণয়ন ও অর্থ সংক্রান্ত পদ্ধতি ৮০-৯২
৩য় পরিচেছদ-অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা ৯৩
১ম পরিচ্ছেদ-সুপ্রীম কোর্ট ৯৪-১১৩
২য় পরিচ্ছেদ-অধ:স্তন আদালত ১১৪-১১৬
৩য় পরিচ্ছেদ-প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল ১১৭
১ম পরিচ্ছেদ-কর্মবিভাগ ১৩৩-১৩৬
২য় পরিচ্ছেদ-সরকারী কর্মকমিশন ১৩৭-১৪১
ক. জরুরী বিধানাবলী ১৪১ক-১৪১গ
অনুচ্ছেদ
১. প্রজাতন্ত্র, ২. প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা, ২-ক, রাষ্ট্রধর্ম, ৩. রাষ্ট্র ভাষা, ৪. জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক, ৫. রাজধানী, ৬. নাগরিকত্ব, ৭. সংবিধানের প্রধান্য।
৮. মূলনীতিসমূহ, ৯. স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন, ১০. জাতীয় জীবনে মহিলাদের অংশগ্রহণ, ১১. গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ১২. [বিলুপ্ত], ১৩. মালিকানার নীতি, ১৪. কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি, ১৫. মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা, ১৬. গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষিবিপ্লব, ১৭. অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা, ১৮. জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা, ১৯. সুযোগের সমতা, ২০. অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম, ২১. নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য, ২২. নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ, ২৩. জাতীয় সংস্কৃতি, ২৪. জাতীয স্মৃতি নিদর্শন প্রভূতি, ২৫. আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
২৬. মৌলিক অধিকারের সহিত অসামাজ্ঞস্য আইন বাতিল, ২৭. আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ২৮. ধর্ম প্রভৃতি কারণের বৈষম্য, ২৯. সরকারী নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা, ৩০. বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ, ৩১. আইনের আম্রয় লাভের অধিকার, ৩২. জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার-রক্ষণ, ৩৩. গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, ৩৪. জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরন, ৩৫. বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষন, ৩৬. চলাফেরার স্বাধীনতার, ৩৭. সমাবেশের স্বাধীনতা, ৩৮. সংগঠনের স্বাধীনতা, ৩৯. চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা, ৪০. পেশা বা বৃত্তির-স্বাধীনতা, ৪১. ধর্মীয় স্বাধীনতা, ৪২. সম্পত্তির অধিকার, ৪৩. গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষন, ৪৪. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ, ৪৫. শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন, ৪৬. দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা, ৪৭. কতিপয় আইনের হেফাজত, ৪৭ক. সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা
১ম পরিচ্ছেদ-রাষ্ট্রপতি
৪৮. রাষ্ট্রপতি, ৪৯. ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার, ৫০. রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ, ৫১. রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি, ৫২. রাষ্ট্রপতির অভিশংসন, ৫৩. অসামর্থের কারনে রাষ্ট্রপতির অপসারন, ৫৪. অনুপস্থিতি প্রভূতির কালে রাষ্ট্রপতি পদে স্পীকার।
২য় পরিচ্ছেদ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা
৫৫. মন্ত্রীসভা, ৫৬. মন্ত্রিগণ, ৫৭. প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, ৫৮. অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ
তৃতীয় পরিচ্ছেদ-স্থানীয় শাসন
৫৯. স্থানীয় শাসন, ৬০ স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা
৪র্থ পরিচ্ছেদ-প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ
৬১. সর্বাধিনায়কতা, ৬২. প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভূতি, ৬৩. যুদ্ধ
৫ম পরিচ্ধে-অ্যাটর্নি জেনারেল
৬৪. অ্যাটর্নি জেনারেল
১ম পরিচ্ছেদ-সংসদ
৬৫. সংসদ-প্রতিষ্ঠা, ৬৬. সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা, ৬৭. সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া, ৬৮. সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক প্রভূতি, ৬৯. শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোটদান করিলে সদস্যের অর্থদণ্ড, ৭০. পদত্যাগ ইত্যাদি কারনে আসন শূন্য হওয়া, ৭১. দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা, ৭২. সংসদের অধিবেশন, ৭৩. সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী, ৭৩ক. সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার, ৭৪. স্পিকার ও ডেপুটি স্পকিার, ৭৫. কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভূতি, ৭৬. সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ, ৭৭. ন্যায়পাল, ৭৮. সংসদ ও সস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি, ৭৯. সংসদ-সচিবালয়
২য় পরিচ্ছেদ-আইন প্রণয়ন ও অর্থ সংক্রান্ত পদ্ধতি
৮০. আইন প্রণয়-পদ্ধতি, ৮১. অর্থবিল, ৮২. আর্থিক ব্যবস্থাবলী সুপারিশ, ৮৩. সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা, ৮৪. সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সহকারী হিসাব, ৮৫. সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রন, ৮৬. প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিাসাবে প্রদেয় অর্থ, ৮৭. বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, ৮৮. সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়, ৮৯. বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কে পদ্ধতি, ৯০. নির্দিষ্টকরণ আইন, ৯১. সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী, ৯২. হিসাব, ঋণ প্রভূতির ভোট, ৯৩. [বিলুপ্ত]
৩য় পরিচ্ছেদ-অধ্যাদেশ প্রণয়ন-ক্ষমতা
৯৩. অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা
৯৪. সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা, ৯৫. বিচারক নিয়োগ, ৯৬. বিচারকদের পদের মেয়াদ, ৯৭. অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, ৯৮. সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ, ৯৯. বিচারকগণের অক্ষমতা, ১০০. সুপ্রীম কোর্টের আসন (১০) হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার, ১০২. কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভূতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা, ১০৩. আপিল বিভাগের এখতিয়ার, ১০৪. আপীল বিভার্গে পরোয়ানা জারী ও নির্বাহ, ১০৫. আপিল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা, ১০৬. সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার, ১০৭. সুপ্রীম কোর্টের বিধিপ্রণয়ন-ক্ষমতা, ১০৮. কোর্ট অর রেকর্ড রূপে সুপ্রীম কোর্ট, ১০৯. আদালত সমূহের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রন, ১১০. অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগের মামলা স্থানান্তর, ১১১. সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকারিতা, ১১২. সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা, ১১৩. সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ
২য় পরিচ্ছেদ-অধস্তন
১১৪. অধ:স্তন আদালতসমূহ প্রতিষ্ঠা, ১১৫. অধ:স্তন আদারতে নিয়োগ, ১১৬. অধ:স্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রন ও শৃঙ্খলা, ১১৬ক. বিচার বিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন
৩য় পরিচ্ছেদ-প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল
১১৭. প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমুহ
ষষ্ঠ ভাগ : জাতীয় কল-[বিলুপ্ত]
১১৮. নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, ১১৯. নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, ১২০. নির্বাচন কমিশনের কর্মচারগিণ, ১২১. প্রতি এলাকার জন্য একটি মাত্র ভোটার তালিকা, ১২২. ভোটার-তালিকায় নামভুক্তি যোগ্যতা, ১২৩. নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময়, ১২৪. নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা, ১২৫. নির্বাচনী আইন ও আইনের বৈধতা, ১২৬. নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান।
১২৭. মহাহিসাব নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা, ১২৮. মহা হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব, ১২৯. মহা হিসাব নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ, ১৩০. অস্থায়ী মহা হিসাব নিরীক্ষক, ১৩১. প্রজাতন্ত্রের হিসাব রক্ষার আকার ও পদ্ধতি, ১৩২. সংসদে মহা হিসাব নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন
১ম পরিচ্ছেদ- কর্মবিভাগ
১৩৩. নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী, ১৩৪. কর্মের মেয়াদ, ১৩৫. অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের প্রভূতি, ১৩৬. কর্মবিভাগ পুনর্গঠন
২য় পরিচ্ছেদ-সরকারী কর্মকমিশন
১৩৭. কমিশন প্রতিষ্ঠা, ১৩৮. সদস্য নিয়োগ, ১৩৯. পদের মেয়াদ, ১৪০. কমিশনের দাযিত্ব, ১৪১. বার্ষিক রিপোর্ট
১৪২. সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা।
১৪৩ প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি, ১৪৪. সম্পত্তি ও কারবার প্রভূতি সম্পর্কে নির্বাহী কর্তৃত্ব, ১৪৫. চুক্তি ও দলিল, ১৪৫ক. আন্তর্জাতিক চুক্তি, ১৪৬. বাংলাদেশের নামে মামলা, ১৪৭. কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভূতি, ১৪৮. পদের শপথ, ১৪৯. প্রচলিত আইনের হেফাজত, ১৫০. ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী, ১৫১. রহিতকরণ, ১৫২. ব্যাখ্যা, ১৫৩. প্রবর্তন, উল্লেখ, নির্ভরযোগ্য পাঠ
বিভিন্ন পদের জন্য নূন্যতম বয়স
পদ – ন্যূনতম বয়স
- রাষ্ট্রপতি – ৩৫ বৎসর
- প্রধানমন্ত্রী – ২৫ বৎসর
- মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী – ২৫ বৎসর
- স্পীকার – ২৫ বৎসর
- সংসদ সদস্য – ২৫ বৎসর
- সংবিধানের প্রস্তাবনার উপরে লেখা আছে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’
প্রথম তফসিল : অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন
দ্বিতীয় তফসিল : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বিলুপ্ত)
তৃতীয় তফসিল : শপথ ও ঘোষণা
চতুর্থ তফসিল : ক্রান্তিকাল ও অস্থায়ী বিধানমালা
- ‘বেসরকারী বিল’ : সংসদে মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ছাড়া অন্য সংসদ সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত বিলকে ‘বেসরকারী বিল’ বলে।
- জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটি : বর্তমানে জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটি ৪৮টি। এর মধ্যে মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ৩৭টি এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ১১টি।
- জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটিকে বলা হয় ‘মিনি পার্লামেন্ট’।
- বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক হল সুপ্রীম কোর্ট
- বাংলাদেশের সরকারী কর্মকমিশন সংস্থাপনমন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট
- বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (ইঈঝ) ক্যাডার সংখ্যা ২৮টি
- জরুরী অবস্থার সময় সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৪০ এবং ৪২ নং অনুচ্ছেদ স্থগিত করা হয়।
- সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ৮, ৪৮, ৫৬ অনুচ্ছেদের কোন বিধানাবলীর সংশোধনের জন্য গণভোট প্রয়োজন হয়।
আইন সম্পর্কিত কতিপয় শব্দ
- ৫৪ ধারা বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করার ক্ষমতা
- ১৪৪ ধারা মানুষের চলাচল আচরণ এবং কর্মকান্ডের উপর বিধিনিষেধ নিয়ন্ত্রন। যেমন ৪ জনের বেশি একত্রে চলাচল নিষিদ্ধ, আগ্নেয়াস্ত্র বহন এবং এক জায়গায় একত্র-হওয়া বা করা নিষিদ্ধ।
- ১৫৪ ধারা- এই ধারায় এজাহার রেকর্ড করা হয়।
- ১৬৪ ধারা- এই ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
- ১৭৩ ধারা এই ধারায় চার্জশীট দাখিল করা হয।
- ৪২০ ধারা- বাংলদেশের পেনাল কোর্ডের একটি ধারা যেখানে প্রতারণার জন্য শাস্তির বিধান রাখা আছে।
- FIR- First Information Report ৎঃ এটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী যা এজাহার নামে পরিচিত।
- PP-Public Procecutor-যার মাধ্যমে সমস্ত ক্রিমিনাল মামলা প্যারোল নির্বাহী আদেশে মুক্তি।
-আইন – পাসের সময় সংশোধিত হয়
- দণ্ডবিধি- ১৮৬০
- পুলিশ আইন- ১৮৬১
- স্বাক্ষ্য আইন – ১৮৭২
- চুক্তি আইন – ১৮৭২
- সাবালকত্ব আইন- ১৮৭৫
- অস্ত্র আইন- ১৮৭৮
- সম্পত্তি হস্তান্তর আইন- ১৮৮২
- ট্রাস্ট অ্যাক্ট- ১৮৮২
- বিস্ফোরক আইন- ১৮৮৪
- ফৌজদারী কার্যবিধি- ১৮৯৮
- তামাদি আইন- ১৯০৮
- সরকারী গোপনীয়তা আইন- ১৯২৩
- সাকসেশন অ্যাক্ট- ১৯২৫
- বাল্য বিবাহ আইন- ১৯২৯ -১৯৮৪
- আরবিট্রেশন অ্যাক্ট- ১৯৩৭
- ট্রেড মার্কস অ্যাক্ট- ১৯৪০
- ভবঘুরে আইন- ১৯৪৩
- ট্রেজারি রুলস- ১৯৪৪
- আনসার আইন- ১৯৪৮
- মুসলিম পারিবারিক আইন- ১৯৬১ -১৯৮৬
- স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধীকরন ও নিয়ন্ত্রন আইন – ১৯৬১
- বিশেষ ক্ষমতা আইন- ১৯৭৪
- শিশু আইন- ১৯৭৪
- স্থানীয় শাসন অধ্যাদেশ- ১৯৭৬
- যৌতুক নিরোধ আইন- ১৯৮০ -১৯৮৬
- বিবাহ ও তালাক নিবন্ধীকরণ আইন- ১৯৭৪ -১৯৭৫
- ন্যায়পাল আইন – ১৯৮০
- বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা – ১৯৮১
- ভূমিকা সংস্কার অধ্যাদেশ – ১৯৮৪
- পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ – ১৯৮৫
- বাংলাভাষা প্রচলন আইন- ১৯৮৭
- মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন- ১৯৯০
- প্রাথমিক শিক্ষা (বাদ্যতামূলক আইন)- ১৯৯০
- ব্যাংক কোম্পানি আইন- ১৯৯১
- কোম্পানি আইন- ১৯৯৪
- সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন (বিশেষ বিধান)- ১৯৯৪
- নারী ও শিশু নির্যাতন আইন- ২০০০
- অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ- ২০০১
- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আইন- ৯ এপ্রিল, ২০০২
- দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আইন – ১ ডিসেম্বর, ২০০২
- যৌথবাহিনীর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ- ৯ জানুয়ারি ২০০৩
- দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪
- জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন- ২ ডিসেম্বর, ২০০৪ -২ জুন, ২০০৬
- ধুমপান ও তামাকজাতপণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রন- ১৫ মার্চ, ২০০৫
- ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন কার্যকর হয় – ১ জুলাই, ২০০৫
- কর ন্যায়পাল আইন- ১০ জুলাই, ২০০৫
- বাংলাদেশ শ্রম আইন – ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৬
- ভ্রাম্যমান আদালত অধ্যাদেশ – ১ নভেম্বর, ২০০৭
- তথ্য অধিকার আইন- ২৯ মার্চ, ২০০৯
- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন- ১ এপ্রিল, ২০০৯
- গ্রাম সরকার (রহিতকরন) বিল- ৬ এপ্রিল, ২০০৯
- শেখ পরিবারের সদস্যগণের নিরাপত্তা বিল- ১৩ অক্টোবর, ২০০৯
(মূল)।
***
আপডেট চলবে-
0 comments:
Post a Comment