আফ্রিকার জলবায়ু সব সময় উষ্ণ থাকেনি। নীল নদ অন্তত দুবার জমাট বেঁধে বরফ হয়ে গিয়েছিল, ৮২৯ এবং ১০১০ সালে।
অ্যান্টার্কটিকার রস সাগরের (অ্যান্টার্কটিকায় প্রবেশের একটি বড় খাঁড়ি)
ওপর দিয়ে শত শত ফুট পুরু বরফ একটি স্তর হয়ে বেরিয়ে এসেছে। একে বলা হয় ‘রস আইস শেলফ’ এবং এর ক্ষেত্রফল ফ্রান্সের সমান।
অতীতে হাজার হজার বছর আগে বিভিন্ন বরফ যুগে পৃথিবীর পুরো এলাকার শতকরা ৩০ ভাগ বরফের পুরু স্তরে ঢাকা ছিল।
কোরিয়ান মহিলারা—যাঁদের আমা বলে ডাকা হয়—যাঁরা ডাইভিং গিয়ার ছাড়াই সমুদ্রে ডুব দিয়ে শামুক তোলেন, অন্য মানুষের তুলনায় তাঁরা দিনে অনেক বেশি সময় ঠান্ডায় থাকেন।
এস্কিমোরা খুব সংকীর্ণ ফাঁকসহ কাঠের তৈরি এক ধরনের ‘আইগ্লাস’ ব্যবহার করে, বরফ ও তুষারপাত হতে চোখ বাঁচাতে এই আইগ্লাস দারুণ কাজ করে।
ছোট সমতল আইসবার্গগুলোতে পাল লাগিয়ে অ্যান্টার্কটিকা থেকে দুই হাজার ৪০০ মাইল দূরের চিলির ভ্যালপ্যারাইসো এবং পেরুর কাকাইয়ুব পর্যন্ত ভাসিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
পূর্ব সাইবেরিয়ার তাপমাত্রা এত ঠান্ডা হতে পারে যে একজন লোকের নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে আর্দ্রতা বের হয় তা বাতাসে জমে যেতে পারে এবং হালকা মুচমুচ শব্দ করে কিংবা ফিসফিসানির মতো শব্দ হয়ে তা মাটিতে পড়তে পারে।
শেষ বরফ যুগের সময়, ২৩ হাজার বছর আগে মহাসাগরে বিশাল বিশাল আইসবার্গ ছিল, দক্ষিণে মেক্সিকো সিটি পর্যন্ত।
বরফের কাঠিন্য লোহার মতো।
ভাষান্তর: হাসান খুরশীদ
সূত্র: প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment