কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই সেনার নাম পেদ্রো পিমেন্তেল রায়োস (৫৫)। ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত পিমেন্তেল অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করেন। ২০১১ সালে বিচারের জন্য তাঁকে গুয়াতেমালায় পাঠানো হয়।
১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে গুয়াতেমালার দস ইরেস গ্রামে সদ্যোজাত শিশুসহ ২০১ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত সাবেক সেনাদের মধ্যে পিমেন্তেল অন্যতম।
ওই গণহত্যায় অংশ নেওয়া সাবেক এক সেনা সাক্ষ্য দেন, ১৯৮২ সালে পিমেন্তেলসহ ২০ জন সেনার একটি দল ওই গ্রামে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র খোঁজার নির্দেশ দেন। সেনারা পরে গ্রামবাসীর চোখ বেঁধে হাতুড়ি, মুগুর দিয়ে পিটিয়ে তাদের হত্যা করে। এর মধ্যে সদ্যোজাত এক শিশুও ছিল। পরে তাদের ১৫ মিটার গভীর একটি কুয়ায় নিক্ষেপ করা হয়।
পিমেন্তেল তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি কাইবাইলস নামের একটি এলিট বাহিনীর সদস্য ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ৩০ বছর এবং প্রতিটি হত্যার জন্য তাঁকে ৩০ বছর করে মোট ছয় হাজার ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটি মূলত প্রতীকী সাজা। কারণ দেশটির আইনে সর্বোচ্চ ৫০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
গুয়াতেমালায় ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে আড়াই লাখ লোক নিহত ও নিখোঁজ হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির সাবেক সামরিক শাসক এফ্রিয়ান রায়োসের বিচারকাজ শুরু হয়। এএফপি।
0 comments:
Post a Comment