সাম্প্রতিক এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চাকাঙ্ক্ষার জোরে আপনি সম্মানসূচক কোনো শিক্ষাগত ডিগ্রি অর্জন বা করপোরেট চাকরিক্ষেত্রে সাফল্যের দেখা পেতে পারেন। কিন্তু এটা দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে সুখী করতে পারে না; বরং কম তত্পর মন্থরগতির মানুষেরা বেশি সুখী হয় আর তারা বাঁচেও বেশি দিন। যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক টিমোথি জাজের নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় সম্প্রতি এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।
সামাজিক বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় এত দিন প্রায়ই এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রত্যয়টি উল্লেখ করে এলেও কেউই এ প্রত্যয়টির ধারণা ব্যাখ্যা করতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ টিমোথি জাজের। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাতটি ভিন্ন দশকের মোট ৭০০ জন ব্যক্তির জীবনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চেয়েছেন যে কীভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমাদের জীবনের আদল গড়ে দেয়।
আর গবেষণা শেষের তথ্য-উপাত্ত রীতিমতো অবাকই করেছে অধ্যাপক টিমোথিকে। দেখা গেছে, শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবনে সাফল্যের সঙ্গে উচ্চাকাঙ্ক্ষার খুবই দৃঢ় একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সফল হওয়ার মানেই যে মানুষ সুখী হবে বা বেশিদিন বাঁচবে, তা মোটেই নয়। বরং দীর্ঘমেয়াদে এসব উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ সুখী জীবন যাপন করে না এবং মারাও যায় তুলনামূলকভাবে দ্রুত।
দ্রুতই গবেষণাপত্রটি ফলিত মনোবিজ্ঞানের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হবে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গবেষণাটির জন্য অংশগ্রহণকারীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে টেরমান জীবন-চক্র নামের একটি গবেষণা থেকে। যেখানে ১৯২২ সাল থেকে শত শত ‘উচ্চসক্ষমতাপূর্ণ’ আমেরিকানের জীবনকাহিনি পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণার উচ্চাকাঙ্ক্ষী অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের বেশির ভাগই দুনিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পেশাগত জীবনেও অনেক উচ্চ বেতনে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু জীবনে তাঁরা ‘সবকিছুই পেয়েছেন’ এমনটা মনে হলেও তাঁরা জীবনে সুখী হতে বা দীর্ঘদিন বাঁচতে পারেননি। যেটাকে বিবেচনা করা হয় মনুষ্য জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালক হিসেবে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment