খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার দিন টাইটানিকের ক্যাপ্টেনের মাতাল থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী এমিলি রিচার্ডস ওই চিঠি লেখেন। সমপ্রতি চিঠিটি পাওয়া যায়। এতে এমিলি লিখেছেন, হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথ জাহাজের বারে বসে মদ পান করেন। এমিলি এই দৃশ্য নিজে দেখেছেন।
টাইটানিক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত একাধিক ইতিহাস বইয়ে বলা হয়, হিমশৈলে ধাক্কা খাওয়ার সময় ক্যাপ্টেন তাঁর কেবিনে ঘুমাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁকে ঘুম থেকে জাগানো হয়।
ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল অর্ধনিমজ্জিত হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় বিলাসবহুল প্রমোদতরী আরএমএস টাইটানিক। জাহাজটিতে তখন দুই হাজার ২২৮ জন আরোহী ছিল। এমিলি (২৪) ও তাঁর দুই সন্তানকে দুর্ঘটনার দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়। এমিলির ভাই জর্জসহ এক হাজার ৫২২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। উদ্ধারের পর নিউইয়র্কে ফেরার পথে শাশুড়িকে ওই চিঠি লেখেন এমিলি। নিউইয়র্কে পৌঁছার পর অন্য একটি চিঠিতেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন তিনি। ইংল্যান্ডের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ‘হেনরি অলরিজ অ্যান্ড সন’ আগামী ৩১ মার্চ চিঠিটি নিলামে তুলছে।
এত দিন বলা হতো, ক্যাপটেন স্মিথ (৬২) ওই রাতে জাহাজের প্রথম শ্রেণীর রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে অংশ নেন। এরপর নিজের কেবিনে ঘুমাতে যান।
টাইটানিক বিশেষজ্ঞ উনা রেইলি প্রশ্ন তুলেছেন, এমিলির বক্তব্য যদি সত্যিই হয়, তাহলে তিনি এত দিন এ কথা প্রকাশ করেননি কেন? উনা বলেন, হতে পারে, ক্যাপ্টেন বারে গিয়েছিলেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, তিনি মদ পান করে মাতাল হয়ে পড়েছিলেন।
বেলফাস্টের হারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ শিপইয়ার্ডে নির্মিত টাইটানিক তার ভ্রমণের সময় ছিল বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় জাহাজ। পিটিআই অনলাইন।
0 comments:
Post a Comment