“মরে গেছি ভেবে আমাকে ফেলে দিয়েছে আনটি”- বলেছে আদুরী, ১০ বছরের একটি শিশু... আপনাদের ভাষায় “কাজের মেয়ে”, যাকে মৃত প্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ধনী মানুষদের এলাকার একটা ডাস্টবিন থেকে।
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
বোকা মেয়ের ডায়রি- "ডাস্টবিনে মৃতপ্রায় ১০ বছরের শিশুটির নাম আদুরী"
“মরে গেছি ভেবে আমাকে ফেলে দিয়েছে আনটি”- বলেছে আদুরী, ১০ বছরের একটি শিশু... আপনাদের ভাষায় “কাজের মেয়ে”, যাকে মৃত প্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ধনী মানুষদের এলাকার একটা ডাস্টবিন থেকে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার এএসআই আব্দুল মান্নান জানান, রোববার সকালে আদুরীকে বারিধারা ও ডিওএইচএস তেলের ডিপোর মাঝামাঝি রেল লাইন সংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া ও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। এরপর কঙ্কালরসার মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাস্টবিনের পাশ থেকে এ শিশুটিকে উদ্ধার করেছিলেন লিলি আক্তার নামের এক নারী।
আদুরীর সমস্ত শরীর জুড়ে দগদগে পোড়া ক্ষত, ঠোঁট ফুটো হয়ে গেছে গরম খুন্তির ছ্যাকায়, ব্লেডের কাটাকুটি এখানে সেখানে। কেন জানেন? তাহলে প্রথম থেকে শুনতে হবে এই গল্প। হ্যাঁ, গল্পই বললাম। কেননা পড়া শেষে ভুলে যাবেন সবাই। কারো একটুও মনে থাকবে না আদুরীর কথা.. কিংবা আদুরীর মতন মেয়েদের কথা।
২ মাস আগে মা সাফিয়া বেগম রেখে গিয়েছিল এই বাসায় আদুরীকে। পেশা- গৃহপরিচারিকা। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার সূত্রমতে আদরীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। পাঁচ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সে নবম। ভাই সোহেল, দোয়েল, পান্না পটুয়াখালী নদীতে মাছ ধরে সংসারের ঘানি টানে। বড় বোন তানিয়া, সোনিয়াও ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। বাবা বেঁচে নেই।
জীবনের প্রথম এই কাজের মেয়ের জীবন। দিন রাত গাধার খাটুনি খাটতে হতো, কখনো না খেয়ে, কখনো উচ্ছিষ্ট খাবার আধা পেটা খেয়ে দিন কাটতো এই শিশুটির। কিন্তু শিশু তো, মনের মাঝের রঙ গুলো দুঃসহ পরিস্থিতিতেও ছেড়ে যায়নি। গৃহকর্ত্রীর কন্যাদের কানের দুল দেখে শখ হয়েছিল দুল পরার। তাদেরি দুল নিয়ে পরে ফেলেছিল সে আর সেটাই হলো আদুরীর কাল। ধরা পরার পর থেকেই ক্রমাগত চলেছে অকথ্য নির্যাতন। গরম খুন্তি দিয়ে খোঁচা দেয়া, ইস্ত্রি গরম করে পিঠে ছেঁকা দেয়া, সাথে মারধোর তো আছেই। গৃহকর্ত্রীর দুই কন্যা ব্লেড দিয়ে রক্তাক্ত করেছে শিশু আদুরীর শরীর।
বর্তমানে ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা চলছে আদুরীর। কংকালসার শিশুটি দীর্ঘকালের অভুক্ত তা স্পষ্ট বোঝা যায় পাঁজরের হাড়গুলো দেখে, শরীরের ইঞ্চি ইঞ্চি জুড়ে তার নতুন কেবল দগদগে ক্ষত, মাথায় খাবলা খাবলা দিয়ে উঠে গেছে চুল... মানসিক ভাবে অনেকটাই অপ্রকৃতস্থ শিশুটি জানাতে পারেনি নির্যাতনকারীদের সঠিক পরিচয় বা বাসার ঠিকানা।
কিছু কি বোঝাতে পারলাম? কিছু কি বোঝাতে পারলাম আপনাদের? আমি জানি পারিনি, কেননা আমি নিজেও বুঝতে পারি না। নিজের মাঝে কি যেন একটা হিমশীতল হয়ে যায়, যখন জীবনের এই ভয়াবহ নির্মমতার সামনে দাঁড়াই। বলা ভালো, দাঁড়াতে বাধ্য হই।
আমার কোনো সন্তান নেই, কিন্তু মাঝে মাঝেই একলা বসে অনাগত একটি কন্যার কথা চিন্তা করি আমি। ছোট্ট একটা পরী আমার ঘরের মাঝ দিয়ে হাঁটে, আধো আধো বোল বলে, একটু হোঁচট খায়। কন্যাকে একদিন বিয়ে দিয়ে দিচ্ছি চিন্তা করে চোখে পানি চলে আসে আমার। যে সন্তানটি পৃথিবীতেই আসেনি, তাকে হারাবার বেদনায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি।
নারীর অন্তরে তো "মা" থাকবার কথা। কোথায় সেই মা? ছোটবেলায় শুনেছি, বিধাতা সব জায়গায় নিজে উপস্থিত থাকতে পারেন না বলে তিনি মায়েদের সৃষ্টি করেছেন, যেন মায়েরা বুকে আগলে রক্ষা করে আমাদেরকে। নারী... মা রূপে যারা পৃথিবী জুড়ে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত, তারা কি করে এমন হায়েনার মতন হতে পারেন? তারা কি করে হতে পারেন এমন অকথ্য নির্যাতনকারী? তাঁদের কি অন্তর একটু কাঁপে না? একটু কি করুণা জাগে না তাঁদের জানোয়ারের মতন হিংস্র হৃদয়ে?
বেশি না, একটু মাত্র করুণা। ভালোবাসাও নয়, একটু মাত্র করুণা। দু মুঠো খাবারের জন্য যারা অন্যের বাড়িতে গোলামী করতে আসে, তাঁদের জন্য!
- See more at: http://www.priyo.com/2013/09/26/33090.html#sthash.7ygPPp9z.dpufAbout the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
মর্মান্তিক,
শিশু
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment