ব্ল্যাকহোল দেখা অসম্ভব, তবুও জ্যোতির্বিদরা বিশ্বাস করেন যে এ মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা। কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি আলো ও তড়িত্-চুম্বকীয় বিকিরণও ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকে বের হতে পারে না। ব্ল্যাকহোলে পতিত কোনো বস্তুর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা।
গবেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে আলোর যে অবস্থা হয়, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের রহস্যময় এ অঞ্চলটিতে পানির ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা হয়।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মহাসাগরের মাঝে বিশাল এক ঘূর্ণি-স্রোত তার চারপাশের সব কিছুকে এমন বৃত্তাকারভাবে ঘোরাতে থাকে যে, কোনো কিছুই এ ঘূর্ণি-বৃত্ত থেকে বের হতে পারে না। গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের ঘূর্ণি-স্রোত উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার ঘটনা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এ ধরনের ঘূর্ণি-স্রোতের প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন মার্কিন গবেষকেরা, যা ভবিষ্যতে সমুদ্রের অজানা রহস্যের সমাধানের পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেও লাগবে।
PROTHOM-ALO
0 comments:
Post a Comment