আর মেয়েটিও দুইজনের কাউকেই ত্যাগ করতে পারবে না বলে জানানোর পর তাকে একসঙ্গে বিয়ে করতে চুক্তি সই করেন মিয়ন্ডা এবং কিমানি।
বিয়ের পর দুইজনের কে কখন স্ত্রীর সঙ্গে বাসায় থাকবেন তার সময়সূচি উল্লেখ করা হয় চুক্তিতে। সন্তান হলে মিলেমিশে তার দেখাশুনার দায়িত্বও নেবেন দুই স্বামী।
কোনো চাপ, লোভ কিংবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নয়, নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছাতেই ত্রিমাত্রিক এই পরিবার গড়ছেন বলে জানান তারা।
কেনিয়ার স্থানীয় ‘ডেইলি ন্যাশন’ পত্রিকার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ভিন্নধর্মী বিয়ের পিঁড়িতে বসা এই নারীর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। দুই সন্তান জন্ম নেয়ার পর প্রথম স্বামী মারা যান।গণমাধ্যমের কাছে নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই নারী।
চুক্তিতে বলা হয়, “আজ থেকে আমরা দু’জন (দুই স্বামী) আমাদের স্ত্রীর জন্য পরস্পরকে হুমকি দেব না কিংবা ঈর্ষা অনুভব করব না, সে আমাদের কাউকেই ত্যাগ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে”।
“প্রত্যেকে নিজের জন্য নির্ধারিত দিনটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব। আমরা একে অন্যকে ভালোবাসার জন্য একমত হয়েছি এবং শান্তিপূর্ণভাবেই বাস করব। কেউ আমাদেরকে এ চুক্তি করতে বাধ্য করেনি।”
কেনিয়ার সমাজে একজন পুরুষের একাধিক বিয়ে করার প্রচলন থাকলেও একজন নারীর একাধিক স্বামী থাকার নজির নেই। ফলে ত্রিধারার নতুন এ সংসারকে প্রথা বিরোধী বলেই মনে করছে মানুষ।
আর তাই একাধিক স্বামী নেয়াকে সমাজের রীতি প্রমাণ করতে পারলে এ বিয়েতে আইনগত কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
খবরে বলা হয়, কম্যুনিটি পুলিশ অফিসার আবহালা আবদুল রহমান দুই পুরুষকে এক নারী নিয়ে দরকষাকষি করতে দেখে যৌথ বিয়ের এ পরামর্শ দেন।
0 comments:
Post a Comment