1 / 1
বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক ও পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থানে সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া বৌদ্ধ বিহারটি হাজার বছর আগে বিক্রমপুরী বিহার নামে পরিচিত ছিল বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুরামপুরে ওই প্রাচীন বৌদ্ধবিহার পরিদর্শনে যান প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
পরিদর্শনকালে এ বিহারের সন্ধানে খনন ও গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৌদ্ধ বিহারটি ‘বিক্রমপুরী বিহার’ নামে খ্যাত ছিল বলে তারা ধারণা করছেন।
তিনি বলেন, “ইতিহাস থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বৌদ্ধ বিহারটি অতীশ দীপঙ্করের এলাকার বিক্রমপুরী বৌদ্ধ বিহার। এ ধরনের আরো বৌদ্ধ বিহার এ এলাকায় রয়েছে। মাটি খুঁড়ে আমারা ইতিহাস তুলে এনেছি। এখন এটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয়দের।”
শনিবার পরিদর্শনকারীদের দলে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রকল্প পরিচালক নূহ-উল-আলম লেনিন, অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহা পরিচালক শিরিন আক্তার, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক আতাউর রহমান।
তারা মনে করছেন, এই বৌদ্ধবিহারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পর্যটন জোন গড়ে উঠতে পারে।
সচিব সুরাইয়া বেগম বলেন, বিক্রমপুরের বৌদ্ধ বিহার নিঃসন্দেহে প্রাচীন সভ্যতার একটি নিদর্শন। ইতিমধ্যে এখানে বিদেশি পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। এসব পর্যটকদের রঘুরামপুরে আসার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
“এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী জানতে পারবে যে, অনেক আগে থেকেই এ জাতির মাঝে সভ্যতা ছড়িয়ে ছিল।”
অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, এই বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবে। এতে একদিকে যেমন এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার সম্ভবনার সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এই বৌ্দ্ধবিহারের কাছেই মোঘল ও সুলতানী আমলের স্থাপনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তিন আমলের স্থাপনা নিয়ে এ এলাকা দেশের অন্যতম পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।”
মুন্সীগঞ্জ শহরের ইদ্রকপুর কেল্লা ও পুলঘাটার ইটের পুল মোঘল আমলের স্থাপত্য। আর মীরকাদিমের কাজীকসবায় বাবা আদমের মসজিদ সুলতানী আমলের স্থাপনা।
0 comments:
Post a Comment