ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী মনিকা গাগ্লিয়ানো বলেন, ব্যাকটেরিয়া একে অপরের সঙ্গে কম্পন বিনিময় করতে পারলে উদ্ভিদ কেন পারবে না? তাঁরা উদ্ভিদের শব্দ বিনিময়ের প্রমাণ পেয়েছেন। এই বিনিময়ের উদ্দেশ্য স্পষ্টতই পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন। অরণ্য অঞ্চল সাধারণত ছত্রাকে পরিপূর্ণ থাকে। সেখানকার গাছপালা সংকেত বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সম্ভবত ছত্রাকের সাহায্য নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ছত্রাক অনেকটা ইন্টারনেটের মতো কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির উদ্ভিদবিজ্ঞানী ড্যান জনসন বলেন, শব্দতরঙ্গ পরিমাপক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফণীমনসা উদ্ভিদ প্রজাতির অতি সূক্ষ্ম শব্দ তৈরির সামর্থ্যের প্রমাণ মিলেছে। তীব্র খরার সময় উদ্ভিদের এ ধরনের শব্দ বিনিময়ের হার বেড়ে যায়।
মনিকা গাগ্লিয়ানো আরও বলেন, সূক্ষ্ম সংকেতের মাধ্যমে কোনো উদ্ভিদ তার আশপাশের উদ্ভিদের কাছে কী সংকেত পাঠায়, তা স্পষ্ট নয়। তবে গাছপালার নিজস্ব সুরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। তারা সম্ভবত পারস্পরিক অবস্থা, বিপদ-আপদ প্রভৃতি বিষয়ের তথ্যই বিনিময় করে।
তবে উদ্ভিদের গঠনে প্রাণীর কান বা মুখের মতো কোনো অঙ্গের সন্ধান যেহেতু পাওয়া যায়নি, তাই গাগ্লিয়ানোর সমালোচকেরা উদ্ভিদের পারস্পরিক ‘কথা বলার’ প্রমাণসংক্রান্ত এই গবেষণা মানতে রাজি নন। ড্যাভিসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক রিচার্ড ক্যার্বান বলেন, গাগ্লিয়ানোর গবেষণায় উদ্ভিদের শব্দ যোগাযোগের যথেষ্ট প্রমাণ সংযুক্ত করা হয়নি।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ ফ্যাঙ্ক তেলেওস্কি বলেন, চমৎকার অনুকল্প থেকেও কখনো কখনো সত্যের সন্ধান মেলে। তবে সে জন্য চমৎকার প্রমাণও প্রয়োজন। লাইভসায়েন্স।
Prothom-alo
0 comments:
Post a Comment