তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিটি মহাত্মা গান্ধী লিখেছিলেন ১৯৪৩ সালে। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অতিরিক্ত সচিবের উদ্দেশে। গান্ধী তখন ভারতের পুনায় আগা খান প্যালেসে গৃহবন্দী ছিলেন।
চিঠিতে তিনি তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের মুক্তির দাবি করে লিখেছেন, লাখ লাখ মানুষ যখন দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে, সেখানে কয়েক হাজার নারী-পুরুষকে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক রাখা ‘অচিন্তনীয়’ ব্যাপার। তিনি চিঠিতে আরও লিখেছেন, ‘সরকার যদি মনে করে আমার “অশুভ” প্রভাবে জনগণ “বিপথে” যাচ্ছে, তাহলে আমাকে কোনো জায়গায় বন্দী করে রেখে, আমার অনুসারীদের ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
গান্ধী ওই চিঠিতে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, তাঁকে বন্দী করে রেখে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে, এটা না করে বরং এ অর্থ দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের ত্রাণ বিতরণে ব্যয় করা উচিত। তিনি জানান, তাঁকে একটি বড় জায়গায় বিপুলসংখ্যক রক্ষীর প্রহরায় আটকে রাখা হয়েছে। এ জন্য সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
মহাত্মা গান্ধীর স্বাক্ষরিত চিঠিটির নিলামকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, চিঠিটি একজন ভারতীয় স্বাধীনতা যোদ্ধার হাত হয়ে তাদের কাছে এসেছে। বিশেষ নিলামে এটি বিক্রি করা হবে। দ্য হিন্দু।
0 comments:
Post a Comment