গবেষকেরা বলছেন, ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা-প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ হয় মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন অংশে। কাজেই কারও সার্বিক বুদ্ধিমত্তা নির্ণয়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি, যুক্তিবিন্যাস ও উপস্থাপন দক্ষতা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। গবেষণার জন্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকা ও সাপ্তাহিক নিউ সায়েন্টিস্ট সাময়িকীর অনলাইনে বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। দুই বছরে এই পরীক্ষায় সাড়া দেয় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ।
গবেষণাপত্রের লেখকদের একজন টেলিগ্রাফের নিবন্ধকার রজার হাইফিল্ড বলেন, মস্তিষ্ক যখন কোনো জটিলতম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, তখন বুদ্ধিমত্তার একটি পরীক্ষা ভুল প্রমাণিত হতে বাধ্য। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ধরেই নিতে পারি, যুক্তিবিন্যাসের দিক দিয়ে কেউ খুবই দুর্বল কিন্তু তার স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর, কারও উপস্থাপনের দক্ষতা অসাধারণ কিন্তু যুক্তিবিন্যাস ততটা জোরালো নয়।’
গবেষণার জন্য অনলাইনে যে বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, সেখানে স্মৃতিশক্তি, যুক্তিবিন্যাস, উপস্থাপন দক্ষতাসহ ১২টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে, শুধু একটি অংশে কেউ ভালো করলেই তাঁকে বুদ্ধিমান বলা যাচ্ছে না। কেননা অপর অংশে তিনি হয়তো খুবই খারাপ করেছেন। এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে গবেষকেরা বলছেন, কারও সার্বিক বুদ্ধিমত্তা নির্ণয় করতে হলে অন্তত স্মৃতিশক্তি, যুক্তিবিন্যাস ও উপস্থাপন দক্ষতা—এই তিনটি পরীক্ষা করা একান্তই দরকার।
নিউরন সাময়িকীতে গবেষকেরা লিখেছেন, বুদ্ধিমত্তা যাচাইয়ের খেলায় নিয়মিত অংশ নিয়েও সার্বিক বুদ্ধিমত্তা খুব বেশি বাড়ানো সম্ভব বলে মনে হয়নি। যাঁরা ধূমপান ও দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তাঁদের স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। টেলিগ্রাফ।
0 comments:
Post a Comment