ইকুয়েডরের দূতাবাসে ছয় মাস ধরে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর বক্তব্য শুনতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই দূতাবাসের সামনে জড়ো হন শতাধিক ভক্ত ও বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের কর্মীরা। সন্ধ্যায় অ্যাসাঞ্জের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন তাঁর ভক্তরা।
ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন উইকিলিকসের কার্যক্রমকে চলমান অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দেশটির কূটনৈতিক তৎপরতার বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র আমাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, কেউ মুক্ত গণমাধ্যমের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। সত্য প্রকাশে পিছপা হবে না উইকিলিকস।’
অ্যাসাঞ্জ আরও বলেন, ‘আমি জানি, দূতাবাসে আমার অবস্থান ও মত প্রকাশ—দুটিই নিরাপদ। এ জন্য ইকুয়েডর সরকারের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমি মোটেও ভীত নই, উইকিলিকসের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার কোনো অবকাশও নেই।’ ২০১২ সালকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘পৃথিবীজুড়ে যেসব সংবাদকর্মী সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে হাজতবাস করছেন, তাঁদের আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।’
ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গত বছর অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করে সুইডেন। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে লন্ডনের পুলিশ। পরে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। গত ১৯ জুন যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। ১৬ আগস্ট তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইকুয়েডর সরকার। যুক্তরাজ্যে প্রচলিত আইন অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জ শুধু দূতাবাসের ভেতরেই অবস্থান করতে পারবেন। দূতাবাস থেকে বের হলে গ্রেপ্তার করা হবে তাঁকে।
অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর সমর্থকদের আশঙ্কা, সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হলে দেশটির সরকার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। উইকিলিকসে মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন নথি ফাঁস করার দায়ে সে দেশে তাঁর ফাঁসি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment