মাদারীপুর: মাদারীপুরের চার উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছে। সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের তাললুক, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, বাহেরচর-কাতলা; কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুরের আন্ডারচর, কয়ারিয়াসহ ১৫টি গ্রামের বেশ কিছু মানুষ পাশের জেলা শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পীরের অনুসারী। তারা দেড় শ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। চর কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুর: চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন হচ্ছে। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, মনিহার, ঝাকনি, প্রতাপপুর, দক্ষিণ বলাখাল, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচর, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, সাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, চরদুখিয়া, মতলবের দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের হানাফি মাজহাব অনুসারী প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আজ এ উত্সব উদযাপন করছে। ৮০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব এলাকার বাসিন্দারা ধর্মীয় বিভিন্ন উত্সব উদযাপন করে আসছে।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করছে। সকাল নয়টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফের মসজিদ চত্বরে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও সদর উপজেলার ছোট বিঘাই; গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরীবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনিপাড়া; বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, ধাউরাভাঙ্গা, চন্দ্রপাড়া, কনকদিয়া, সাবুপুরা, বামনিকাঠি-আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, নিশানবাড়িয়া, মাঝিবাড়ি, চালিতাবুনিয়া, ইটবাড়িয়া, পৌরশহরের নাইয়াপট্টি, বাদুড়তলী ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাফাখালী গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। বদরপুর দরবার শরিফের খাদেম মো. নাজমুল হক জানান, এই দরবার শরিফের পীর এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, পটিয়া ও এলাহাবাদ পীরের অনুসারীরা ১৯২৮ সাল থেকে এসব এলাকায় ঈদসহ ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছে।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছে। সকাল ১০টায় ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের খোন্দকার বাড়ি ও কচুবাড়িয়া গ্রামের হাজি ওয়াহেদ আলী হাওলাদারের বাড়িতে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ইউনিয়নের শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।
পটিয়া (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ৫০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ এবং সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা এ উত্সব উদযাপন করছে। সকাল সাড়ে আটটায় জাহাঁগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০০ বছর আগে থকে সাতকানিয়া মির্জাখীল গ্রামের হজরত মাওলানা মোখলেছুর রহমানের ফতোয়া অনুযায়ী ওই দরবার শরিফের অনুসারীরা ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উত্সব উদযাপন ও পালন করে আসছে।
নারায়ণগঞ্জ: সদর উপজেলার ফতুল্লায় হজরত শাহ সুফি মতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদ্রাসায় ‘জাহাগিয়া কাদেরিয়া চিশতিয়া’ তরিকার অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে। সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পুরাতন ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে দুই শতাধিক মুসল্লি এতে অংশ নেয়। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রাঙাবালী মমতাজিয়া মাদ্রাসার সুপার মুফতি মাওলানা ইকবাল হোসাইন।
শেরপুর: জেলার বিভিন্ন উপজেলার ছয়টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। সদর উপজেলার চরখারচর সাতানীপাড়া, পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া, শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা, ঝিনাইগাতীর চতল এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিজ নিজ গ্রামের মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করে। শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ এ উত্সব উদযাপন করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment