হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে এই অনুভূতি প্রকাশ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইকবাল মাহমুদ। কদম ফুল হাতে সকাল ১০টা থেকে সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
শহীদ মিনারে আগত মানুষের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। তাঁদের অনেকের হাতে হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় কদম ফুল। এ ছাড়া গোলাপসহ নানা ফুলে ভরে উঠছে লেখকের কফিন।
দুটি কদম ও একটি গোলাপ ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে এসেছেন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া। তিনি বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদকে আর কোনোদিন দেখার সুযোগ হবে না—ভাবতেই বুক ভেঙে কান্না আসে। বর্ষার কদম ছিল স্যারের প্রিয় ফুল। তাই কদম ফুলেই তাঁকে শেষবিদায় জানাচ্ছি।’
প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হূমায়ূন আহমেদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব চলবে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এরপর জাতীয় ঈদগাহে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁদের কর্মকর্তা হুমায়ূন আহমেদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর সাধারণ মানুষ এই কিংবদন্তি লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শুরু করেন। বিপুলসংখ্যক ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী, পাঠকসহ সর্বস্তরের মানুষ দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি তাঁদের শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা শোকাহত মানুষের দুটি সারি শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর পর্যন্ত চলে গেছে। আরেকটি সারি চলে গেছে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত।
হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ বহনকারী বিমানটি আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রয়াত লেখকের ছোট ভাই আহসান হাবীব জানিয়েছেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় ঈদগাহে জানাজার পর আজই হুমায়ূন আহমেদের দাফন সম্পন্ন হবে।
নিউইয়র্ক সময় শনিবার রাত ১১টা ৪১ মিনিটে হুমায়ূন আহমেদের মরদেহবাহী বিমানটি জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর ছাড়ে। লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই শিশুপুত্র নিষাদ ও নিনিত, শাশুড়ি সাংসদ তহুরা আলী, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম ও শাওনের বোন সেঁজুতি একই বিমানে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় এসেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment