মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ রোববার ভোরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমন এবং লালবাগ এলাকা থেকে ইউনিপেটুইউর মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জামশেদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে তাদের থানায় সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
এদিকে ওই দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকরা থানার সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ইউনিপেটুইউর এমডি ও জিএমসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
মুনতাসির ইমন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে যে সাড়ে ১২ শ’ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলেন তা জমা করা হয় তিনটি ব্যাংক হিসাবে। বর্তমানে ব্যাংকে ইউনিপেটুইউর নামে ৪১৯ কোটি টাকা থাকলেও সরকার তা জব্দ করেছে।
২০১০ সালের শেষ দিকে ইউনিপেটুইউর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠলে ওই প্রতিষ্ঠনের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামে। এরপর ইউনিপেটুইউর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে এমএলএম ব্যবসাকে একটি নীতিমালার মধ্যে আনার উদ্যোগ নেয় সরকার।
ইমন দাবি করেন, “আমাদের আরো তিন বছর ব্যবসা চালাতে দিলে গ্রাহকরা লাভবান হতেন।”
গ্রাহকদের টাকায় কি করেছেন জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “কক্সবাজার, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও বসুন্ধরায় জমি কেনা হয়েছে। এছাড়া রবার ও মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ইউনিপেটুইউর জিএম জামশেদুর রহমান দাবি করেন, মিঠু চৌধুরী নামে তাদের একজন উপদেষ্টা প্রায় দুই শ’ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা।
মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, মোহাম্মদপুর থানায় ইমন ও জামশেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে।
থানার বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আসাদুজ্জামান বখতিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা নিয়েছে এই প্রতারক চক্র। সাড়ে সাত কোটি টাকার মধ্যে আমার নিজের রয়েছে পৌনে দুই কোটি টাকা। বাকি টাকা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের।”
আরেক বিনিয়োগকারী আজিজুল ইসলাম মিঠু অভিযোগ করেন, তার ‘অনেক টাকা’ আত্মসাৎ করেছে ইউনিপেটুইউ। তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment