প্রত্যক্ষদর্শী ও রানীশংকৈল থানা সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, নেকমরদ বাজার এলাকার বাসিন্দা একরামুল হক শুক্রবার দুপুরে স্ত্রী রানী আক্তারের মতামত না নিয়ে বড় ছেলে খাদেমুল হকের বিয়ে ঠিক করেন। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নেকমরদ-বালিয়াডাঙ্গী সড়কের পাশে নিজেদের চায়ের দোকানের সামনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবার ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রানী আক্তার আত্মহত্যা করতে সড়কে দ্রুতগামী একটি বাসের দিকে ছুটে যান। স্ত্রীকে বাঁচাতে দৌড়ে যান একরামুলও। দুজনেই বাসের নিচে চাপা পড়েন। একরামুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত রানী আকতারকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
একরামুলের প্রতিবেশী আবদুল হক জানান, ছেলের বিয়ে নিয়ে কয়েক দিন ধরে একরামুল ও তাঁর স্ত্রী রানীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। রানী কয়েকবার আত্মহননের হুমকি দেন। আসলেই রানী আত্মহত্যার জন্য এভাবে ছুটে যাবেন, তা কেউ ভাবতে পারেনি।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ খান জানান, ঘটনা সম্পর্কে কোনো অভিযোগ না থাকায় মামলা হয়নি।
0 comments:
Post a Comment