গতকাল রোববার বিকেলে চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন মামলাটি করেন। বিচারক শামস জগলুল হোসেন বিবাদীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ জুন সমন জারিসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় যাঁদের বিবাদী করা হয়েছে তাঁরা হলেন: দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম ও প্রকাশনা সংস্থা ট্রান্সক্রাফট লিমিটেড, যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সালমা ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিবেদক গোলাম মাওলা ও প্রকাশনা সংস্থা যমুনা প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেড, নয়াদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, প্রকাশক সামসুল হুদা, প্রতিবেদক সৈয়দ শামছুজ্জামান ও প্রকাশনা সংস্থা মেসার্স দিগন্ত প্রিন্টার্স, যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি সাঈদ হোসাইন চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রোকনউদ্দিন আহমেদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রথম আলো পত্রিকায় ‘দেশজুড়ে প্রতারণার ফাঁদ ডেসটিনির’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া আরও তিনটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এতে বাদীর আর্থিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা, মানসিকভাবে এক হাজার কোটি টাকা এবং পেশাগত ও সামাজিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি প্রথম আলোকে বলেন, বাদী ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা মানহানিকর। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে এবং বাদী সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ মামলা করা হয়েছে।
হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির পক্ষে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল আমিন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। গতকাল রোববার রিট আবেদনটি করা হয়। আজ বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মিজান সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি কোনো ব্যাংক বা কোম্পানি নয়। এটি সমবায় আইনে নিবন্ধিত একটি সমবায় সমিতি। ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩ ধারা অনুসারে সমবায় সমিতি আইন-২০০১-এর অধীনে নিবন্ধিত কোনো সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইনের শুধু ৪৪ ও ৪৫ ধারা ছাড়া অন্য কোনো ধারা প্রযোজ্য হবে না। যেভাবে পরিদর্শন ও প্রতিবেদন করা হয়েছে তাতে আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াগত ত্রুটি রয়েছে। কারণ, ডেসটিনিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রতিবেদনের কোনো অনুলিপি দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে। আবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই পরিদর্শন প্রতিবেদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—এ মর্মে রুল এবং প্রতিবেদনের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। এতে অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment