বারটোল্ড ওয়াইজনার জন্মেছিলেন অস্ট্রিয়ায়। তিনি ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানী। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রায়োগিক পরীক্ষা চালানোয় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। বারটোল্ড ও তাঁর স্ত্রী মিলে ১৯৪০ সালে একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। তিনি ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত শুক্রাণু গবেষণা করেন এবং বিভিন্ন পরিবারকে তাঁর শুক্রাণু দান করেন। গবেষকেরা সাম্প্রতিক ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রায় ৬০০ সন্তানের ‘জনক’ বারটোল্ড।
সম্প্রতি গবেষকেরা ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন বিভিন্ন পরিবারে বড় হওয়া প্রায় ৬০০ সন্তানের সঙ্গে বারটোল্ডের ডিএনএর মিল রয়েছে। তবে তাঁর কত সন্তান এখনো জীবিত বা ঠিক কতজন সন্তানের জনক তিনি, এ সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। কারণ এ-বিষয়ক নথিটি নষ্ট করে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে মারা গেছেন বারটোল্ড।
চল্লিশের দশকের পরের সময়টাকে সুপ্রজনন বিদ্যার যুগ বলেই গবেষকেরা মনে করেন। কারণ এ সময় প্রজননবিদ্যা নিয়ে গবেষকেরা বিভিন্ন গবেষণা করছিলেন। এ সময় গবেষকেরা ধারণা করতেন, বিদ্বান বা জ্ঞানী মানুষের জিন ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে পৃথিবীতে বিদ্বানের সংখ্যা বাড়ে আর এ কাজে বোকাদের নিরুত্সাহিত করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে শুক্রাণু দানের বিষয়ে বর্তমানে আইন রয়েছে। এখন একজন সর্বোচ্চ ১০ বার শুক্রাণু দান করতে পারেন সেখানে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment