ইন্দোনেশিয়ার হাজার হাজার তরুণ-তরুণী এভাবে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। ওয়েবসাইটের সঙ্গীকে জীবনসঙ্গী করার ঘটনাও কম ঘটছে না। এর বিপরীত ঘটনাও ঘটেছে।
‘এটা অদেখা প্রেম। আমরা কেউ কাউকে দেখিনি। ফেসবুকে তার ছবি দেখেছি, চ্যাট করেছি তার সঙ্গে। সে-ও আমার প্রতি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে’—বলছিলেন ইলহাম আজি প্রসেতো (২২)। অনলাইনে সপ্তাহ দুয়েক চেষ্টা করে বান্ধবীকে খুঁজে পান তিনি। অথচ কখনো তাঁদের মুখোমুখি দেখা হয়নি। সম্পর্কটাও অবশ্য বেশিদিন টেকেনি।
প্রসেতো বলেন, ‘তিন সপ্তাহের মতো সম্পর্কটা ছিল। পরে আমাদের মনে হলো, আর বেশিদূর নয়। কেননা, আমাদের চিন্তাভাবনা আলাদা, তাই আমরাও সম্পর্ক চুকিয়ে দিলাম।’ অবশ্য গত মাসেই আরেক বান্ধবী খুঁজে পেয়েছেন প্রসেতো এবং তা-ও অনলাইনে। তিনি বলেন, ‘এবার আমরা দেখা করেছি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আমি তাকে টুইট করব, আর তাতে থাকবে হূদয়ের ছবি। এরপর আমরা কেনাকাটার জন্য বেরিয়ে পড়ব।’
২৪ কোটি লোকের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রবণতা অনেক পশ্চিমা দেশের চেয়েও বেশি। ফেসবুকে চার কোটি (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ফেসবুক ব্যবহারকারী) ও টুইটারে দুই কোটি (পঞ্চম বৃহত্তম) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। দেশটিতে বহু প্রেমের সূচনাই হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ইন্দোনেশীয় তরুণ-তরুণীদের চলমান এ প্রবণতা নিয়ে ‘রিপাবলিক টুইটার’ নামের একটি ছবিও বানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে কমেডি ধাঁচের এ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। ছবিটিতে শুধু অনলাইন প্রেমই নয়, ওয়েবসাইটের প্রতি ইন্দোনেশীয়দের আগ্রহের ব্যাপারটিও তুলে ধরা হয়েছে। এএফপি।
0 comments:
Post a Comment