অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে উপভোগ করেছে লাখ লাখ ডলারের আতশবাজির মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী।
সিডনির বর্ষবরণ আয়োজন ‘টাইম টু ড্রিম’। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, পুরোনো বছরকে পেছনে ফেলে মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখাতেই তাঁদের এই আয়োজন। নিউজিল্যান্ডে খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে বড় ধরনের উত্সব করা সম্ভব হয়নি।
নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাতে দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফাও আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল।
ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে জাপানের জন্য বিদায়ী বছরটি ছিল বেদনার। তাই নতুন বছরের কাছে ছিল অনেক প্রত্যাশা। এ কারণে মধ্যরাতে টোকিওতে জড়ো হয়ে প্রত্যাশার বেলুন উড়িয়েছে সেখানকার উত্ফুল্ল জনতা। সেই বেলুনে তাঁরা জুড়ে দিয়েছে ২০১২ সালের প্রত্যাশার একটি তালিকা।
কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যেও রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল উত্সবের নগরে। রাত ১২টার আগেই আতশবাজির মুহুর্মুহু শব্দে ঢাকা জানান দিচ্ছিল—বিদায় ২০১১, স্বাগত ২০১২।
যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে ঢল নেমেছিল উত্সবের। নেচে-গেয়ে তারা জীর্ণ বছরকে বিদায় দিয়েছে। আর আতশবাজির শব্দে স্বাগত জানিয়েছে ২০১২ সালকে। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার জনতা। সেখানকার মেয়র মিশেল ব্লুমবার্গ ও সংগীতশিল্পী লেডি গাগা নতুন বছরের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনেছেন।
ইউরোপজুড়ে বিপুল উত্সাহ ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালকে, আর এক বুক আশা নিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে ২০১২ সালকে।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে গতকাল মধ্যরাতে চোখধাঁধানো আতশবাজি আর পটকার মুহুর্মুহু শব্দে মেতে উঠেছিল পুরো যুক্তরাজ্য। সন্ধ্যা থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে টেমস নদীর দুই পাড়। উত্সবের রং ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল টেমস নদীর ওপরে আলোর খেলা দেখতে। আকাশ চমকানো বর্ণিল বৃত্তগুলো জানান দিচ্ছিল, দোরগোড়ায় ‘লন্ডন অলিম্পিক ২০১২’। আর তাই এবারের বর্ষবরণ একেবারেই ভিন্ন।
জার্মানিতেও বর্ষবরণে ছিল বিপুল উদ্দীপনা। তবে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের বর্ষবরণের বার্তায় ছিল ভিন্ন সুর। তিনি বলেছেন, ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ সাল হবে আরও কঠিন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ঋণ-সংকট এই ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবে।
টেলিভিশনে প্রচারিত বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিও জার্মান চ্যান্সেলরের মতো একই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০১২ সাল হবে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নতুন বছরের সম্ভাবনাও কম নয়।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে হাজার হাজার জনতা এই উত্সব উপভোগ করেছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্সব ব্যাহত হয়েছে। তবে এর পরও থেমে থাকেনি রঙিন আলো ও আতশবাজির খেলা।
কড়া নিরাপত্তা মধ্যে রাশিয়ার রেড স্কয়ারে জড়ো হয়ে হাজার হাজার জনতা পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। সেখানে উপস্থিত জনতা মধ্যরাতে উপভোগ করেছে আতশবাজির চোখধাঁধানো আলোর খেলা।
ব্রাজিলেও হাজার হাজার মানুষ এ উপলক্ষকে উদযাপন করেছে। রিও ডি জেনিরোর সমুদ্রসৈকতে আয়োজন করা হয়েছিল আতশবাজির মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী।
উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ নতুন বছরের বার্তায় দেশটির সব জনগণকে নতুন নেতা কিম জং-উনকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment