শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাদের তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর থেকে এই বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে।
"অফিস বন্ধ থাকায় শনিবার তাদের কাছে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হবে। তবে মৌখিকভাবে বরখাস্তের কথা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে," যোগ করেন রুহুল।
তবে হীরণ ও তার ফুফুর কাছে শুক্রবারই বরখাস্তের নোটিস পৌঁছে দেওয়া হয় বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
হীরণের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। তিনি কলাপাড়ার উত্তর চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার ফুফু তাহমিনা খানম ওই উপজেলারই নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
গত ১১ নভেম্বর বিয়ের আসরে স্বামী হীরণকে তালাক দেন ইডেন কলেজের ছাত্রী ফারজানা ইয়াসমীন নিপা। তার বক্তব্য, যৌতুক চাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা ফারজানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হীরণের ফুফু তাহমিনা বিয়ের আসরে যৌতুক দাবি করেন, আর তা সমর্থন করেন হীরণ।
এনিয়ে প্রতিবেদন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হলে তা ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে আলোচিত হয়ে ওঠে। ফারজানার সাক্ষাৎকারের ভিডিও-ও প্রকাশ হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে।
এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ফারজানা ও হীরণের পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করেন।
ফারজানার সাহসী ভূমিকার কথা জেনে তাকে অভিনন্দিত করেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
ফারজানা বিয়ের দিনের ঘটনা তুলে ধরার পর আত্মপক্ষ সমর্থনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বক্তব্য দেন হীরণও। তার সাক্ষাৎকারও ভিডিওসহ প্রকাশ করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্
0 comments:
Post a Comment