নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আলিয়া মাগদা এলমাহদি গত সপ্তাহে আরবি ভাষার ব্যক্তিগত ব্লগে নিজের পুরোপুরি নগ্ন ছবি প্রকাশ করেন। নারী-পুরুষের সমতা ও বাক-স্বাধীনতার চিন্তা থেকেই তিনি এ ধরনের কাজ করেছেন বলে যুক্তি দেখিয়েছেন।
এলমাহদির ব্লগটিতে এ পর্যন্ত দেড় লাখ হিট পড়েছে। এ ছাড়া পড়ছে হাজার হাজার মন্তব্য। কেউ কেউ তাঁকে ‘পতিতা’ ও ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে মন্তব্য করেছেন। আবার তাঁকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ।
মিসরের অধিকাংশ নারীই মাথায় স্কার্ফ পড়েন। সেখানে প্রকাশ্যে চুম্বনের বিষয়টিকেও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ব্লগে নগ্ন ছবি প্রকাশ করাটা হিতে বিপরীত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
উদারপন্থীদের মতে, মিসরের মতো একটি দেশে সমতা ও বাক-স্বাধীনতার নামে নগ্নতা গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এ ঘটনা তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে বিপদেই ফেলবে। তাই তারা এটা কোনোভাবেই সমর্থন করে না।
নগ্ন ছবি পোস্ট করার দায়ে আলিয়া মাগদা এলমাহদি দণ্ডিতও হতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা করছে।
0 comments:
Post a Comment