নাসার কর্মকর্তা কলিন হার্টম্যান সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বলেছেন, চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন পুরুষেরা। কিন্তু মঙ্গল গ্রহে যে কেউ প্রথম পা রাখতে পারেন। তিনি বলেন, যেহেতু মঙ্গল অভিযান আরও প্রায় দুই দশক পর। সে জন্য এখন যারা ১১ থেকে ১২ বছর বয়সী কিশোরী, তাদের মধ্যে মঙ্গল অভিযানের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। পরে তাদের মধ্যে থেকে কেউ অভিযাত্রী হতে পারে।
দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যতটা মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব তার চেয়ে ১৫০ গুণ বেশি। পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে যেতে ও ফিরে আসতে প্রায় দেড় বছর সময় লাগবে।
নাসার নারী মহাকাশ বিশেষজ্ঞ লকহিদ মার্টিন বলেছেন, অভিযাত্রী হিসেবে কেবল পুরুষদের বেছে নেওয়া হয়। আর নানা প্রতিকূলতার কারণে অনেক নারীই শেষ পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণার শিখরে পৌঁছতে পারেন না।
একই কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরাও। তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ জন নারী মহাকাশ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অথচ নাসায় কাজ করেন মাত্র ৩৯ জন নারী।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে নাসার এক্সপ্লোর মার্সের শিক্ষা ও লবিং গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আর্টেমিস ওয়েস্টার্নবার্গ বলেছেন, ‘আমরা নারীদের বলতে চাই যে এই জগত্টা কেবল পুরুষদের জন্য নয়।’
নারী নভোচারী কেডি কোলম্যান বলেন, নারীরা যখনই মহাকাশ যাত্রার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় তখনই তাদেরকে পরিবারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে তা করা হয় না।
তবে আশার কথা, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মহাকাশ যাত্রার ব্যাপারে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে। আর নারীদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
0 comments:
Post a Comment