সেটা আমাদের এই তল্লাটে চায়ের আগমনের শুরুর দিককার কথা। চা নামের পানীয়টিকে জনপ্রিয় করে তোলার এই চেষ্টা বৃথা যায়নি। একের পর এক দিগ্বিজয় করে চা এখন আমাদের নিত্যদিনের অনুষঙ্গ। এবার নীচের ছবিটির দিকে মন দিন। দেখুন এক চা-প্রেমী ছাগলকে। ‘ছাগলে কী না খায়’ কথাটি প্রচলিত থাকলেও আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ছাগল আদতে অনেক কিছুই খায় না। আর খায় না বলেই তাড়াইলের রাউতি গ্রামের লালু নামের এই ছাগল রীতিমতো খবর হয়ে উঠেছে। বিচিত্র খবর!
গেল ১৪ নভেম্বর বিশাল বাংলা পাতায় প্রকাশিত খবর বলছে, চা পান শেষে নামিয়ে রাখা কাপ একটুখানি চেটে দেখতে দেখতেই লালুর এই চা-প্রীতি। লালুর পছন্দ র-চা! মালিক এখন লালুর জন্য দৈনিক সাত-আট কাপ চা সরবরাহ করে যাচ্ছে। লালুর এই চা পানের ঘটনার মধ্যে চমক আছে। আছে আরও একটা জিনিস, তার নাম মমতা।
প্রাণীর জন্য মানুষের মমতা। যে মমতা খুব কম মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। নিজেদের লোভের কারণে সুন্দরবনের বাঘ আমরা প্রায় শেষ করে এনেছি। এখনো অহরহ শুনি অসচেতন গ্রামবাসীর দুঃসাহসী(!) মেছো বাঘ শিকারের গল্প। ফাঁদ পেতে বন্য প্রাণী ধরা আর বিক্রিতেও আমরা সব সময়ই সিদ্ধহস্ত। আর সে কারণেই ছাগল আর তার মালিকের এই হূদ্যতা আমাদের চোখে সত্যিকার অর্থেই এক বিচিত্র সংবাদ!
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
0 comments:
Post a Comment