রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে শুরু হয়ে সমাবেশটি দুই ঘণ্টার বেশি সময় চলে। সমাবেশে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতাদের একজন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির জনক হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে, পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
"সেই বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে সংবিধান লঙ্ঘনকারী ও বিশ্বাসঘাতকের ছবি টাঙানো আইনের প্রতি অবমাননা, সংবিধানের প্রতি অবমাননা।" যোগ করেন তিনি।
বার অ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে আন্দোলনের মাধ্যমে বারের সভাপতির প্রতি অনাস্থা জানানো হবে বলে সতর্কতাও দেন আমীর-উল ইসলাম।
"বর্তমান সভাপতি-সম্পাদক আগেও দায়িত্বে ছিলেন। তখন তারা এরকম চেষ্টা করেননি।" মন্তব্য করে সাবেক আইনমন্ত্রী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, "এখন রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এই চেষ্টা করছেন। এটা হতে দেওয়া হবে না।
সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাদের একজন। এছাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুদ্দোজা বাদলসহ সমিতির ১৪ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক।
গত বৃহস্পতিবার বার অ্যাসোসিয়েশনের এক সাধারণ সভায় সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, জেনারেল এম এ জি ওসমানি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বারের ওই সিদ্ধান্ত প্রতিহত করতে সোমবার বিকাল ৪টায় বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে প্রতিবাদ সভার করার ঘোষণা দিয়েছে বিরোধিতাকারীরা।
রোববারের সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, নুরুল ইসলাম সুজন, ফজলে রাব্বি মিয়া, শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment