বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব আমেরিকান ডায়াটেটিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এক হাজারের বেশি মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে গ্রিন টি সেবনে শরীওে মোট কোলেস্টেরল ও 'খারাপ' এলডিএল কোলেস্টোরলের পরিমাণ ৫ থেকে ৬ পয়েন্ট কমে।
গবেষেণায় কাপে করে গ্রিন টি সেবনের পাশাপাশি গ্রিন টি'র নির্যাসসমৃদ্ধ ক্যাটেচিনস নামের ক্যাপসুলের সাহায্যে রোগীদের গ্রিন টি সেবন করানো হয়। উভয়ক্ষেত্রেই রক্তে কোলেস্টোরলের পরিমাণ কমে।
তবে ক্যাপসুলের তুলনায় কাপে পান করা গ্রিন টিয়ের ফলাফল বেশি স্থায়ীভাবে কার্যকর হতে দেখা যায়। তবে উভয়ক্ষেত্রেই দেহের মোট কোলেস্টেরলের তুলনায় কমার এ পরিমাণ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পমোনার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস'র ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অলিভিয়া ফুং বলেন, "কোলেস্টোরল কমানোর জন্য কেউ ইতিমধ্যে অন্য কোনো চিকিৎসা নিয়ে থাকলে তা বাদ দিয়ে গ্রিন টি সেবন শুরু করা উচিৎ হবে না। তবে ওই চিকিৎসার পাশাপাশি গ্রিন টি সেবন করলে তা চিকিৎসায় বাড়তি সাহায্য করবে।"
ফুংয়ের গবেষক দল ২০টি ক্লিনিকের ১ হাজার ১৪৫ জন রোগীকে গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত করে। তাদের উপর তিন সপ্তাহ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত গ্রিন টি পানীয় অথবা গ্রিন টি নির্যাসসমৃদ্ধ ক্যাটেচিনস সেবন করানো হয়।
তবে গ্রিন টি সেবনে ভালো 'এইচডিএল' কোলেস্টোরলের পরিমাণ বাড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রক্তে মেদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া ট্রাইগ্লিসারাইডস কমারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment