ছয় চাকার এই রোভারের নাম দ্য মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এমএসএল)। এই রোভার কিউরিসিটি নামেও পরিচিত।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি থেকে এমএসএলের বিজ্ঞানী অ্যাশউইন ভাসাভাদা ওই যান সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা মঙ্গল-বিজ্ঞানীদের স্বপ্নের যন্ত্র।’ তিনি বলেন, তাঁদের পাঠানো রোভারগুলোর মধ্যে কাজে এটিই সবচেয়ে বেশি পারদর্শী।
গ্রহটিতে জীবনের চিহ্ন খুঁজে পেতে এ পর্যন্ত তৈরি করা রোবোটিক রোভারগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ও আধুনিক। এই রোবোটিক রোভারে থাকছে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক যন্ত্র। মঙ্গলগ্রহ জীবন ধারণের জন্য উপযোগী কি না বা কখনো উপযোগী ছিল কি না, তা জানার চেষ্টায় এসব যন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
নাসা আশা করছে, এই রোবোটিক রোভার লালগ্রহটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে অনুসন্ধানকাজ চালাতে পারবে। এই রোভারে একটি প্লুটোনিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ব্যাটারিতে সঞ্চিত শক্তির সাহায্যে কিউরিসিটিকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সচল রাখা যাবে।
নাসার অভিযান প্রকল্পের পরিচালক ডগ ম্যাককুইসশান বলেন, নাসার জন্য এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অভিযান শুরুর বিলম্ব ও বাজেটের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় নাসাকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে। এই প্রকল্পে ২৫০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে।
নাসা আশা করছে, রোভারটি যখন মঙ্গলপৃষ্ঠে গিয়ে পৌঁছাবে, তখন অতীতের এসব দুঃখজনক স্মৃতি দ্রুত ম্রিয়মাণ হয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০১২ সালের ৫ আগস্ট মঙ্গলপৃষ্ঠে গিয়ে পৌঁছাবে কিউরিসিটি। এএফপি, বিবিসি। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment