গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত এই রায় দেন। এই অপরাধে কনরাডের সর্বোচ্চ চার বছর কারাদণ্ড হতে পারে। একইসঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে তাঁর চিকিত্সার সনদ।
কনরাডের এই বিচার চলেছে ছয় সপ্তাহ ধরে। ১২ সদস্যের জুরি বোর্ডের সামনে তিনশো তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হয়। সাক্ষ্য দেন ৪৯ জন। শুনানি চলাকালে বাদীর কৌঁসুলিরা বলেন, কনরাড তাঁর কক্ষ থেকে চলে যাওয়ার পরই জ্যাকসন প্রাণঘাতী চেতনানাশক ওষুধ নেন। এই ওষুধ জ্যাকসনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কনরাডই। তিনি কক্ষ ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জ্যাকসন মারা যান।
কনরাডকে ইতিমধ্যে কারা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে তাঁর সাজা শুরু হতে পারে।
রায় শোনার পর জ্যাকসন পরিবারের সদস্যরা আদালত কক্ষে নিঃশব্দে কাঁদতে থাকেন। রায় দেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যাকসনের মা, বাবা, বোন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
পরে সাংবাদিকদের জ্যাকসনের বোন লো টয়া বলেন, ‘মাইকেলের আত্মা আমাদের সঙ্গেই আছে। আদালত যে যথার্থ রায় দেবেন সেটা সে নিশ্চিত করেছে। আসলে মাইকেল ওপর থেকে বসে সব দেখছে।’ পরে তিনি টুইটারে লেখেন, ‘বিজয়!!!!! সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন জানানোর জন্য’।
আদালতে রায় পড়ার সময় কে যেন চিত্কার করে ওঠে। কিন্তু তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি। কনরাডকে হাজির করা হয় হাতকড়া পরানো অবস্থায়। তাঁর মুখ ছিল গম্ভীর, দেখে বোঝার উপায় ছিল না রায় শোনার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া। -সিবিএস ও রয়টার্স।
0 comments:
Post a Comment