ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এক প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারগুলো এই ভয়াবহ স্বাস্থ্যসমস্যার ব্যাপারে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁরা বলেন, মোবাইল ফোনের কারণে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে শিশুরা।
গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিগারেটের মোড়কে যেমন স্বাস্থ্যসমস্যার কথা লেখা থাকে, ঠিক তেমনি মোবাইল ফোনের গায়ে কিংবা দোকানে ‘মোবাইল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’—এ ধরনের স্লোগান লেখা শুরু করা উচিত।
এদিকে মোবাইল প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এই গবেষণাটি অসম্পূর্ণ। মোবাইল ফোন গিলোমা নামের একটি বিরল মস্তিষ্কের টিউমারের জন্য দায়ী। তবে সেই টিউমার সাধারণত খুব অল্প মানুষের হয়।’ এই টিউমারের জন্য মোবাইল ফোনকে ঢালাও দোষারোপ করার সমালোচনাও করেছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, এসব অসম্পূর্ণ গবেষণার তথ্য দিয়ে কিছু বিজ্ঞানী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।
২০০৮ সালে সুইডেনে হওয়া এক গবেষণায় জানা গিয়েছিল, যে শিশুরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, তাদের শরীর অন্যান্য শিশুর চেয়ে পাঁচ শতাংশ কম হারে বৃদ্ধি পায়। তবে এসব গবেষণা প্রতিবেদনের সপক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় কোনো মা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে তিনি অপরিণত শিশুর জন্ম দিতে পারেন।
এ বছরের জুন মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকার করেছে যে মোবাইল ফোন মস্তিষ্কের টিউমার, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগের কারণ হতে পারে।
গত মাসে অবশ্য একটি ড্যানিশ গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোন মস্তিষ্কের ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কোপেনহেগেনের একটি সংস্থা প্রায় তিন লাখ ৫৮ হাজার মানুষের ওপর একটি গবেষণা করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়।
তবে যুক্তরাজ্যে সরকার স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment