ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫২ থেকে ৭৯ বছর বয়সী প্রায় চার হাজার মানুষের ওপর এ গবেষণাটি করা হয়। যাঁদের ওপর গবেষণাটি করা হয়, সুখ, হতাশা বা উদ্বেগ সম্পর্কে চারবার তাঁদের অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়। গবেষণার সময় পাঁচ বছরে মৃত্যুর হারের রেকর্ড করা হয়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স, লিঙ্গ, হতাশা, নিদিষ্ট কিছু রোগে ভোগা, স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত আচরণ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে দেখা যায়, যাঁরা নিজেদের সুখী বলেছেন, তাঁদের অকালমৃত্যুর হার অসুখী মানুষদের চাইতে ৩৫ শতাংশ কম।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু স্টেপটো বলেছেন, ‘গবেষণার এই ফলাফল ভবিষ্যতে প্রবীণদের আরও ভালো থাকার উপায় বাতলে দিতে পারবে।’
এর আগে অবশ্য ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, ইতিবাচক মানসিকতা চাপকেন্দ্রিক হরমোন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে এবং প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
আরেকটি গবেষণায় অধ্যাপক এডওয়ার্ড ডায়েনার ও তাঁর দল দেখিয়েছেন, সুখ মানুষের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে উদ্বেগ, হতাশা, দুঃখবাদিতা শরীরে রোগব্যাধি বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘজীবী হওয়ার জন্য অন্তরায়।
0 comments:
Post a Comment