স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসকদের অধীনে স্বাস্থ্য সহকারীরা কাজ করেন। অনেক উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁরাই রোগ নির্ণয় করে সাধারণ কিছু ওষুধপত্র দেন। কিন্তু সরকার ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নের নামে মালীদের স্বাস্থ্য সহকারীর সমমর্যাদা দিতে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, ‘বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা’ (অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার-এএমসি) প্রকল্পের আওতায় জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ভেষজ উদ্ভিদের ৪৬৭টি বাগান তৈরি হয়েছিল। মালীরা সেসব বাগানে নিয়োগ পান।
স্বাস্থ্য সহকারীর কাজ করছেন তাঁদের এখন এসএসসি পাসের পর তিন বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ডিগ্রি ও এক বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ বলেন, মালীদের চতুর্থ শ্রেণীর পদ থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার একটি প্রস্তাব আছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অভিযোগ আছে, এএমসি প্রকল্পের চিকিৎসা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মালীদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তাঁরই প্রভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ উদ্যোগ নেন।
২০০৩ সালে অনিয়মিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ৪৬৭ জন মালী দুই হাজার ৮৩০ টাকা সম্মানী ভাতায় প্রকল্পে যুক্ত হন। হার্বাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ পেলে তাঁরা এখন তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত হবেন এবং বেতন পাবেন চার হাজার ৭০০ টাকা থেকে নয় হাজার ৭৭৫ টাকা।
জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ অভিযোগের কথা তিনি শুনেছেন। তবে এর কোনো সত্যতা নেই।
১৯৮৭ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলনে ৪০তম সভায় সারা বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে লোকায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারে একমত হন বিশ্বনেতারা। এর ফলে বাংলাদেশ সরকার ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল মেয়াদে ‘বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা’ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। ওই প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পান ৪৬৭ জন মালী। সম্প্রতি সরকার ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়েছে।
0 comments:
Post a Comment